কমতে চলছে স্কুলের ছুটি

করোনা আবহে ধীরে ধীরে এবার আগের জায়াগায় ফিরছে শিক্ষা ব্যবস্থা। অন্যদিকে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে দীর্ঘ হচ্ছে গ্রীষ্মকাল৷ বাড়ছে দাবদাহ৷ তাপপ্রবাহের জন্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার গ্রীষ্মাবকাশ অনেকটাই বাড়িয়েছেন৷ অথচ এমতাবস্থায় ‘মডেল হলিডে লিস্টে’ গ্রীষ্মের ছুটি কমিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়৷ তাতে দেখা গিয়েছে, গ্রীষ্মের ছুটি রয়েছে মাত্র ১১ দিন। কিন্তু পুজোতে রয়েছে লম্বা ২৪ দিনের ছুটি। গ্রীষ্মের ছুটি কমানো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিক্ষকরা৷ 

শিক্ষকরা বলছেন, মোট ৬৫ দিনের ছুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ৫২টি রবিবার৷ তাছাড়া, পরীক্ষার জন্যেও ফি বছর দীর্ঘদিন পঠনপাঠন বন্ধ থাকে। গরমের ছুটি কমানো হলে সিলেবাস শেষ করতে  সুবিধা হওয়ারই কথা। তবে আগামী বছর গ্রীষ্মের পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়৷ দাবদাহের কারণে ছুটি অন্যান্য বছরের মতো বাড়ানো হতেও পারে। সেক্ষেত্রে মোট ছুটিও বেড়ে যাবে। তাঁরা মনে করছেন,  পুজোর ছুটি ২৪ দিন থেকে কমিয়ে ১৮ দিন রেখে গরমের ছুটি বাড়ানো যেতে পারত৷ তাছাড়া পুজোর সময় আবহাওয়াও অনুকূল থাকে। পুজোর পরেও বিশেষ কিছু করার  থাকে না। সেই সময় বাড়তি ক্লাস নিয়ে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হত৷

প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘এপ্রিল থেকেই গরমের তীব্রতা বাড়তে থাকে৷ সেখানে ২৪ মে পর্যন্ত টানা স্কুল করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বিষয়টি সঠিক কি না তা আরও একবার বিবেচনা করে দেখতে বলব পর্ষদকে।’’ আবার পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় মনে করছেন, ‘‘দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল৷ এমতাবস্থায় গ্রীষ্মের ছুটি কমিয়ে পর্ষদ ভালো করেছে। এতে আপত্তির কিছু নেই৷’’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘পুজোর ছুটিও কিছুটা কমলে ভালো হতো। ’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *