লক্ষ্য পূরণ হয়েছে রাশিয়ার

গত একমাস অতিক্রম করলেও অবিরাম গতিতে চলছে যুদ্ধ৷ রুশ হামলায় কার্যত বিধ্বস্ত গোটা ইউক্রেন৷ এই পরিস্থিতিতে অবশেষে রাশিয়া জানাল, ইউক্রেনে প্রথম পর্যায়ের সামরিক অভিযানে ইতি৷ প্রথম দফার অভিযানে তাদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে। অনেকটাই থমকে গিয়েছে রুশ ফৌজের অগ্রগতি৷ 

যুদ্ধের এক মাস পূর্তির পর রুশ সেনার ‘ফার্স্ট ডেপুটি চিফ অফ জেনারেল স্টাফ’ কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুডস্কয় বলেন, ‘‘সেনা অভিযানের প্রথম পর্যায়ের যে লক্ষ্যগুলি নির্ধারিত হয়েছিল সেগুলি পূরণ হয়েছে৷ এবার আমাদের মূল লক্ষ্য পূরণের জন্য পূর্ব ইউক্রেনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’’ কিন্তু রুশ সেনার সেই ‘লক্ষ্য’ কী? কর্নেল জেনারেল রুডস্কয় সাফ জানিয়েছেন, ‘‘ডনবাসের মুক্তি।’’

সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের সংবাদপত্র ‘দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট’-এর দাবি করা হয়েছিল, আগামী ৯ মে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে ইতি টানতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই তারিখটির সঙ্গে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালের ৯ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে সামরিক অভিযান শেষ করেছিলেন অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোশেফ স্তালিন। এখনও রাশিয়া জুড়ে পালিত হয় ৯ মে দিনটি৷ ওই সংবাদপত্রের দাবি ছিল, পুতিন হয়তো স্তালিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন৷  গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর বেলা ইউক্রেনে সেনা অভিযানের কথা ঘোষণা করেন পুতিন৷ এর পরেই হামলা শুরু করে রুশ ফৌজ।

এর ঠিক তিন দিন আগে পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (একত্রে ‘ডনবাস’ বলে অভিহিত হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ তবে, ইউক্রেনের প্রতিরোধের জেরে এখনও পূর্ব ডনবাসের উপর নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি মস্কো। রুশ ফৌজ এবং স্থানীয় রুশভাষীদের নিয়ে গঠিত মিলিশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে ডনবাসে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন সেনা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুগত স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *