গো হত্যায় নতুন নিয়মের মত প্রকাশ

গো হত্যা রুখতে নয়া উদ্যোগ৷ বাঘ নয় বরং গরুকেই দেশের জাতীয় পশু হিসেবে মান্যতা দেওয়া হক। ভারতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ গরু৷ সেইসঙ্গে গো-রক্ষা হোক হিন্দুদের মৌলিক অধিকার৷ এইরকমই সুপারিশ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই চাঞ্চল্যকর রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের একক বেঞ্চ গো হত্যা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এমনই মত প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা দিয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, ” মৌলিক অধিকার শুধুমাত্র গো-মাংস ভক্ষকদের নয়। যাঁরা গো-মাতার পূজা করে তাঁদেরও বিশেষ অধিকার থাকা উচিত।” তাঁর কথায়, ‘বেদ এবং মহাভারতের মতো পুরাণে গরুকে সামজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটাই ভারতের সংস্কৃতি৷ এর জন্যেই ভারত পরিচিত।’ যাঁরা গরুর ক্ষতি করছেন, তাঁদের কঠোর শাস্তির জন্যেও আইন প্রণয়ন করা উচিত৷

সুত্রের খবর, বুধবার ‘উত্তরপ্রদেশ গোহত্যা বিরোধী আইনে’ অভিযুক্ত এজলাসে জাভেদ নামে এক ব্যক্তির জামিনের শুনানির মামলা চলছিল। গরু নিধন প্রতিরোধ আইনের অধীনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বুধবার অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি শেখর কুমার যাদব গরুকে জাতীয় পশু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছেন। ওই আবেদনকারীর জামিন প্রত্যাখ্যান করে বিচারপতি শেখর যাদব। আর তাঁর এই মত প্রকাশের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০১৭ সালেও একই রকম সুপারিশ উঠেছিল রাজস্থান হাইকোর্টেও। সেখানেও গরুকে জাতীয় পশু বলে ঘোষণা করতে হবে বলে কেন্দ্রকে প্রস্তাব দিয়েছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। পাশাপাশি গোহত্যায় দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছিল হাইকোর্টে৷ যদিও এখন মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বন্ধ রয়েছে গোমাংস বিক্রি। অসমের বিধানসভায় পাশ হয়েছে গো সংরক্ষণ বিল। ১৯৫০ সালের আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের বেশি বয়সী গবাদি পশু জবাই করা যাবে না। আর যদি কেউ এই অপরাধ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *