বরাবরই তিক্ততার সম্পর্ক চীন ও ভারতের। গালওয়ানের পর ফের রক্ত ঝরল উপত্যকায়৷ অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লাল ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ভারতীয় সেনার৷ এই ঘটনায় নয়াদিল্লি প্রতিক্রিয়া জানানোর পরই মুখ খুলল বেজিং। চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘‘ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনা চলছে। পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল।’’
সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, দু’দেশের সেনার মধ্যে সংঘাত বড় ঘটনা নয়, বরং এই ধরনের সমস্যা সামলে নেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে ভারতীয় সেনা৷ রাজনাথ সিং-এর এই বক্তব্য শোনার পরই প্রতিবাদে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। অন্যদিকে, তাওয়াঙের ঘটনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনা যথা সময়ে হস্তক্ষেপ করেছিল বলেই পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। চিনের পিপল লিবারেশন আর্মির জওয়ানরা পিছু হঠতে বাধ্য হন।’’
এর পরেই রাজনাথ বলেন, ‘‘তা ছাড়া, অরুণাচল সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কোনও সেনার মৃত্যু হয়নি। কেউ গুরুতর জখমও হননি। আমরা মনে করি এটুকু সমস্যা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা আছে ভারতীয় সেনার।’’ রিপোর্ট অনুযায়ী, লাঠিসোঁটা হাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) অতিক্রম করে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ৷ শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ৷