আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড়সড় দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে জেলার মিডডে মিলের রাধুনীরা। বেতন বৃদ্ধি ও স্থায়ীভাবে নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে পথে নেমেছে মিডডে মিলের রাধুনীরা। দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতির পাশাপাশি ভোট বয়কটের হুশিয়ারি ছুড়ছেন তারা।স্বাভাবিক বাঁচার জন্য ব্লক প্রশাসনের চৌকাটে পা রাখছেন রাধুনীরা।
বুধবার মালদহের চাঁচল-২ নং ব্লক দপ্তরের মূল ফটকে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তারা।বিক্ষোভের মালতীপুর স্ট্যাণ্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে ব্লকের হাজির হন।নেতৃত্ব দিয়েছিলেন AITUC সংগঠনের সারা বাংলা মিডডে মিল কর্মী ইউনিয়ন।
এদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছিল চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।প্রায় আধ ঘন্টা প্লাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখানোর পর বিডিও হাতে ১৩ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় সংগঠনের তয়ফে। দাবি পত্র গ্রহন বিডিও জানিয়েছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দাবিগুলো জানানো হবে।
উল্লেখ্য,পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে জোর দেওয়া হয়েছে মিডডে মিলের খাবারে।সেই খাবার ইতিমধ্যে তদারকি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।মাছ মাংস থেকে শুরু করে রুটিন অনুযায়ী নানান ধরনের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া শুরু হয়েছে।তবে রাধুনীদের অভিযোগ,খাবারের তালিকা বাড়লে আমাদের বেতন বাড়েনি। সারাদিন কাজ করে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেতন মেলে।তাও আবার সঠিক সময়ে নয়।পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডারের বদলে মাটির উনুন শত শত পড়ুয়ার রান্না করতে হয় রাধুনীদের।বীমা নেই,সঠিক বেতন নেই,মিডডে মিলের খাবার রান্নায় সুরক্ষা সহ পরিকাঠামো কিছুই নেই বলে অভিযোগ রাধুনীদের।
মিডডে মিলের জেলা কমিটির সদস্য সাথী চৌধুরী বলেন, ন্যূনতম বেতনে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বিদ্যালয়ের মিডডে মিল খতিয়ে দেখতে আসলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আমাদের উনুনের বদলে গ্যাসে রান্না করতে বলেন। প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করে চলে গেলে আবার সেই আগের মত মাটি উনুনেই আমাদের হাঁড়ি চাপাতে হয়। অবিলম্বে আমাদের বেতন বৃদ্ধি স্থায়ীকরণ করতে হবে না হলে আগামী পঞ্চায়েত ভোট আমরা বয়কট করব।কোন রাধুনী রান্নার কাজে নিযুক্ত থাকবেনা।