ঘুমের দেশে চলে গেলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুপূর্ণা চৌধুরী। বাংলা গানের প্রবহমান ধারায় ‘ইন্দিরা’ নতুন এক গতিমুখ তৈরি করতে পেরেছে। বেশ কয়েকবছর শরীর খুব একটা ভালো ছিলো না, কিন্তু যখনই একটু সুস্থ বোধ করেছেন, ফিরেছেন গানে, বইপত্রে। সুবীরেন্দ্রনাথ আর পূর্ণিমা ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ সন্তান, ইন্দিরা দেবী আর রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহ সান্নিধ্যে কেটেছে শৈশব ও বাল্য। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে থাকা শেষ মানুষ সম্ভবত তিনিই। পারিবারিক গরিমার যে উত্তরাধিকার তিনি বহন করে এসেছেন শ্রদ্ধায়, মমতায়, ভালোবাসায় তাকে নিজের পরিচয়ের কাজে লাগাননি কখনও। পাঠভবন-সংগীত ভবনে শিক্ষা রবীন্দ্রগানের অনন্য এই শিল্পীর।
বিবাহসূত্রে ঘর বেঁধেছিলেন রবীন্দ্রসংগীত তাত্ত্বিক ও রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষক সুভাষ চৌধুরীর সঙ্গে। অন্য তিনবন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সুপূর্ণা ও সুভাষ ‘ইন্দিরা’র মতো ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান স্থাপনা করেছিলেন। উমা সেহানবীশ প্রবর্তিত আর এক স্বতন্ত্রধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে জড়িয়েছিলেন সূপূর্ণাদি।সুপূর্ণাদির চলে যাওয়া অনেকটা পরিণত বয়সে হলেও শূন্যতার ভার পাথরেরই মতো। রবীন্দ্র গানের ভুবন আজ আবার নতুন করে রিক্ত হল। তাঁর স্মৃতি আক্ষরিক অর্থেই অবিস্মরণীয়। তাঁকে শেষ বিদায়ের প্রণাম।