আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে দুর্নীতি মুক্ত শাসক দল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ এরই মাঝে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ৈর সভার পর থেকেই এই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই সভায় অভিষেক দলের স্থানীয় নেতাদের মঞ্চে তুলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা হতদরিদ্র হলেও সততার পথ থেকে সরে যাননি। অভিষেকের ব্যাখ্যা এটাই হচ্ছে নতুন তৃণমূল। তাঁর কথায় দুর্নীতির অভিযোগ নেই যাদের গায়ে তাঁরাই আগামী দিনে জেলা থেকে শহর জুড়ে নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূলকে।

কেশপুরের সভায় অভিষেক যেভাবে নীচুতলার তৃণমূল নেতাদের মঞ্চে তুলে তাঁদের সততাকে কার্যত বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করেছেন, সেটা নিয়ে যথারীতি বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। বিগত কয়েক বছরে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত ঘটনায় জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ-সহ অনেকেই।

এছাড়া এর আগে সারদা-নারদা কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে দলের বহু নেতা-নেত্রীর। তাই সেই বিষয়গুলি নিয়ে অভিষেক নীরব কেন সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাই অভিষেক যেভাবে ‘নতুন তৃণমূল’ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন তা ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দলেরই একাংশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *