জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, অনুমোদন মিললো ৭ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকার

নতুন করে বাড়ছে করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে বিশ্বের মানুষকে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দুয়ারে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে। দেশে যে হারে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে তাতে এমনটাই মত চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি এমন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আর কোন বাধাই যেন মানছে না সংক্রমণ।

ইতিমধ্যেই দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা লাখের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় প্রত্যেকদিনই একটু একটু করে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্ত এবং দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। বুধবারও সেই একই ধারা জারি রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর। বুধবার সকালে প্রকাশিত কেন্দ্র স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গত একদিন দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,৫০৬ জন।

আগের দিনের থেকে যা ফের বেশী। অন্যদিকে এদিন দেশের অ্যাকটিভ কেস লাখের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে আরও ২৯০২ জন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই মুহূর্তে দেশে মোট অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯৯,৬০২ তে।

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি এইদন ফের বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী কত একদিনে দেশে করোনার বলি হয়েছেন মোট ৩০ জন। মৃতদের মধ্যে ১২ জন কেরলের বাসিন্দা, ৫ জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, চারজন দিল্লির বাসিন্দা, দুজন বিহারের বাসিন্দা, তিনজন গোয়ার বাসিন্দা এবং বাকি একজন করে মৃত্যু হয়েছে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকে।

পাশাপাশি এদিনও ফের কিছুটা কমেছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা এবং হার। কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী দেশজুড়ে গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১,৫৭৪ জন এবং এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯৮.৬ শতাংশে।

অন্যদিকে যখন দেশজুড়ে ক্রমশ আরো জোরালো হচ্ছে করোনাকে নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ঠিক তখনই সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা কভোভ্যাক্স ৭ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। জানা যাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউটের এই ভ্যাকসিনকে কিছু শর্তসাপেক্ষে ৭ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ওপর সীমিত জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই দেশের ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও চলছে জোরকদমে। এমতাবস্তায় ৭ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা প্রদানের কাজও যদি শুরু হয় তাহলে দেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *