বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, ফুসফুসের ক্যানসারের পরেই পুরুষরা সবচেয়ে বেশি প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এমনকী প্রত্যেক বছর যার জন্য মৃত্যুর সংখ্যাটাও বেশ আশঙ্কার। তবে সময় মতো চিহ্নিত করা গেলে ৯৬ শতাংশর ক্ষেত্রেই বাঁচানো যায় রোগীর প্রাণ, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি।
বয়স ৫০ পেরোলে প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে। আসলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্টেট ক্যানসারের উপসর্গ বোঝা যায় না। ফলে রোগ নির্ণয়ে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তাহলে ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখলে আগে থেকেই সতর্ক হবেন জেনে নিন:
প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে সমস্যা- প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা কিংবা প্রস্রাব পেলে ঠিকভাবে মূত্রত্যাগ করতে না পারা প্রস্টেট ক্যানসারের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। এই রোগে বড় হয়ে যেতে পারে মূত্রস্থলীর প্রস্টেট গ্রন্থির আয়তনও। বয়স্কদের এই লক্ষণ একেবারে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
বার বার মূত্র ত্যাগের প্রবণতা- প্রস্টেট ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ বার বার প্রস্রাব পাওয়া। বিশেষত, এই রোগে আক্রান্তদের রাতের দিকে বার বার মূত্রত্যাগের প্রবণতা দেখা যায়। তাই আচমকাই প্রস্রাব ত্যাগের প্রবণতায় কোনও রকম পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা- শরীরে প্রস্টেট ক্যানসার হানা দিলে মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা কিংবা জ্বালা হতে পারে। যদিও এটি একাধিক রোগের লক্ষণ হতে পারে। প্রস্টেট ক্যানসার তার মধ্যে একটি কারণ।
রক্তপাত- মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত হলে কিংবা মূত্রের রং লাল, গোলাপি কিংবা গাঢ় বাদামি হয়ে গেলেও প্রস্টেট ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করবেন না।
পিঠ ও কোমরে যন্ত্রণা- কোমরের নীচের দিকে একাধিক কারণে ব্যথা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিঠের নিচের দিক, কোমর, নিতম্বের ব্যথা প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গটি অনেক বেশি দেখা যায়।