যত সময় যাচ্ছে ধীরে ধীরে তত বেশি ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে রাজধানীতে৷ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে রাজধানীর বায়ুদূষণ৷ ধোঁয়াশায় ভরে গিয়েছে দিল্লির ও সংলগ্ন এলাকার আকাশ৷ দিল্লির বাতাসে দূষণের এই বিপজ্জনক মাত্রা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামন৷ দিল্লির দূষণ সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের কথা ভাবতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নাহলে মানুষ বাঁচবে কী ভাবে?’
এদিন প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আপনারা দেখছেন পরিস্থিতি কতখানি বিপজ্জনক…. বাড়িতেও আমাদের মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে৷’’ এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সোমবারের মধ্যে তাদের মতামত জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ হয়েছে৷ এদিন শীর্ষ আদালত আরও বলেন, যানবাহন, ধুলো, বাজি-পটকা থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে৷ এমন কিছু করুন যাতে ২-৩ দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে৷
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পরের দিন থেকেই প্রবল বায়ু দূষণে নাভিশ্বাস উঠেছে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে৷ শনিবার সকালে দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ৫০০-এ পৌঁছয়৷ যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ দূষণ। এদিন সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, “ফসলের অবশিষ্ট পোড়ানোর জেরে ধোঁয়া হচ্ছে। পঞ্জাবের কৃষকদের এবং পঞ্জাব সরকারকে এর জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।” সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য শুনেই বিরক্ত প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি৷ তিনি বলেন, শুধু কৃষকদের উপর দোষ চাপালেই হবে? দিল্লিতে সাতদিন ধরে যে বাজি পাড়ানো হল, তার দায় কে নেবে? দিল্লি পুলিশ কী করছে? কী ভাবে বায়ুমানের সূচক ৫০০ থেকে ২০০-তে নামানো যায় সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করুন৷
কেন্দ্রের পাশাপাশি এদিন দিল্লি সরকারকেও ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালত বলেন, ‘দিল্লিতে স্কুল-কলেজ খোলা রয়েছে৷ প্রবল বায়ু দূষণের মুখে পড়ছে পড়ুয়ারা৷ এটা কেন্দ্রের বিষয় নয়৷ এটা দেখার দায়িত্ব দিল্লি সরকারের৷’ উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের জলবায়ু সংক্রান্ত সংস্থা ‘আইকিউ এয়ার’-এর পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর হল দিল্লি।