বাংলার লজ্জা মমতা ব্যানার্জি। এমনই পোস্টার লক্ষ্য করা গেল কোচবিহার জেলা বিজেপির কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার একাধিক রাস্তায়। একদিকে যেমন বাংলা লজ্জা মমতা ব্যানার্জি লেখা রয়েছে ওই পোস্টারে তেমনি ওই পোস্টারে বিভিন্ন মনীষীদের ছবি উল্লেখ করে লেখা রয়েছে বাংলার গর্ব সেই মনীষীদের নাম। ওই পোস্টার এর নিচেই লেখা রয়েছে আপনাদের সেবক অজয় সাহা, সম্পাদক বিজেপি কোচবিহার জেলা কমিটি।
ইতিমধ্যেই কোচবিহার শহরের একাধিক স্থানে এই পোস্টার এখানে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একাধিক পোস্টারে যেমন বাংলার লজ্জা মমতা লেখা হয়েছে তেমনি বাংলার গর্ব ক্ষুদিরাম বসু, বাংলা গর্ব বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন মনীষীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বাংলার গর্ব মমতার এই ট্যাগ লাইন কে সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে প্রচার চালানো হয়। এবার সেই ট্যাগ লাইন কেই পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বাংলার লজ্জা মমতা ট্যাগ লাইনকে ব্যবহার করে ময়দানে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক অজয় সাহা জানান, প্রকৃত অর্থে বাংলার গর্ব যদি কেউ হয়ে থাকে তাহলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু , ক্ষুদিরাম বোস এরাই বাংলার প্রকৃত গর্ব। আর সেই বাংলার সুনামকে কেউ যদি নষ্ট করে থাকে তার নাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির এই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, বিজেপি একটা পাগল ছাগলের দল। দেশের লজ্জা নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি। আর তাকেই ঢাকার জন্য অন্যকে টেনে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোচবিহারে আবারো নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।