রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি রুখতে সেনা নামানোর আর্জি

ভুল মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে তৈরী হয়েছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, দেশের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে রাজ্যের ওপরেও। বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। অন্যান্য রাজ্যের মতোই বাংলাতেও একই অবস্থা। বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে আশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলাও৷ 

প্রতিবাদে আগুন জ্বলেছে বিভিন্ন প্রান্তে৷ গত কয়েক দিনে রাজ্যে অশান্ত হয়ে ওঠে সেই সকল এলাকায় সেনা নামানোর আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হল। জাতীয় সড়ক বন্ধ, ভাঙচুর ও গোলমালের ঘটনা ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, এই ঘটনা বন্ধ করতে যা করা উচিত, সেটাই করতে হবে। যে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে, তা কি ফেরত দেওয়া সম্ভব? রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব।

উল্লেখ্য, নূপুরের ঘৃণাভাষণের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে বাংলার বিভিন্ন জেলায় অশান্তির আগুন ছড়িয়েছে। হাওড়ার ধুলাগড়, অঙ্কুরহাটি, পাঁচলা, উলুবেড়িয়ায় পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আশান্তি রুখতে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় হাওড়ার ইন্টারনেট পরিষেবা৷ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাতেও নূপুর মন্তব্যে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন৷ 

এই অশান্ত পরিস্থিতি সামাল দিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি এনআইএ তদন্তের আবেদনও জানানো হয়েছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, এই ঘটনায় মোট ২১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় বাংলাদেশের বিতর্কত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন মামলাকারীদের আইনজীবী। সেই সময় পরিস্থিতি সামলাতে সেনা নামানো হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়। জরুরি ভিত্তিতে আজই হবে মামলার শুনানি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *