দল থেকে বিতাড়িত করলেও, দলের পাশেই আছেন বিচারাধীন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আবার একবার সেটাই বোঝালেন তিনি। তৃণমূলের কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। সোমবার আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় এই কথাই বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল দলের সঙ্গে এই মুহূর্তে কার্যত কোনও সম্পর্ক নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। দলের মহাসচিব পদ থেকে তাকে অনেক আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিল্পমন্ত্রীর পদও গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে। সেই অবস্থায় কেবল দলের সদস্যপদ ছাড়া তৃণমূলের আর কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে নেই পার্থ।
এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস হল ডিসেম্বর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বর মাস নিয়েই হুশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের ভিত নড়ে যেতে পারে বলেও বিজেপির অন্দরে বলা হয়েছে আগে। আজ সোমবার শুভেন্দুর দেওয়া তিনটি বিশেষ তারিখের প্রথম দিন। শুভেন্দু বলেছিলেন, ডিসেম্বরের ১২, ১৪, ২১ তিনটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ। আজ সভাও আছে শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের৷
এদিন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নামতেই দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ প্রসঙ্গে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘‘তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না, কেউ পারবে না।’’ যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কোনওভাবেই গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। তৃণমূলে জায়গা পেতে পার্থ এইসব কথা বলছেন বলে মত গেরুয়া শিবিরের।