খেলার জগতে, বিশেষত ফুটবল জগতের সম্রাট তিনি। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়, সরে দাঁড়িয়েছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। ঠিক সেই সময় বিশ্ব ফুটবলের নানা খুঁটিনাটি দিক নিয়ে পেলে যে মন্তব্য করেছিলেন তাতে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। সেই সময় পেলে বলেছিলেন ২০০০ সালের মধ্যে আফ্রিকার কোনও দেশ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। এরপর দেখা যায় ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন হারিয়ে দিয়েছিল তার আগের বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মারাদোনার দেশ আর্জেন্টিনাকে।
কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ বুঝিয়ে দিল শুধু আফ্রিকা কেন, এশিয়ার দেশগুলিকেও যদি আগামী দিনে কেউ ছোট হিসেবে দেখতে চায়, তবে ভুল হবে। আর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গিয়ে মরক্কো বুঝিয়ে দিল, যোগ্যতা দেখিয়েই তারা এতদূর এসেছে। এই বিশ্বকাপে যে চারটি দেশ সেমিফাইনালে উঠেছে তার মধ্যে ইউরোপের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে ফ্রান্স এবং ক্রোয়েশিয়া। এছাড়া আফ্রিকার মরক্কো এবং লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা রয়েছে।
এটা স্পষ্ট যে বহু দেশকে আমরা তথাকথিত ফুটবল শক্তিধর হিসেবে একেবারেই ধরি না। কিন্তু সেই তথাকথিত ছোট দেশগুলিও শক্তিধরদের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করেছে। লাতিনের পাশাপাশি ইউরোপকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলি। শক্তিশালী দেশগুলির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। সমস্ত ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মানছেন কাতার বিশ্বকাপে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে আফ্রিকা বা এশিয়ার দেশগুলি।