দীর্ঘদিন ধরেই করোনা আবহে বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিগত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। করোনার চাপে চলতি বছরে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। এবার আগামী বছরও এই অবস্থা জারি থাকলে খাতা-কলমে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে নতুন পদ্ধতিতে হবে মূল্যায়ন। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ করাই লক্ষ্য, জানালেন নব নিযুক্ত পর্ষদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সিবিএসই দশম এবং দ্বাদশ-এর পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে দিয়েছে। আইসিএসই বোর্ড ঘোষণা করেছে তারা বছরে দু’টি সেমিস্টারের করবে। দু’টি দিল্লি বোর্ডের তুলনায় রাজ্যে বেশ কয়েকগুণ বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে বসে। মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রস্তাবের খসড়া যাবে স্কুলশিক্ষা দপ্তরে। নবান্নের সায় মিললে তা ঘোষণা হবে।
সংসদের সভাপতি পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এবার একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী বছরও একই অবস্থা থাকলে উচ্চমাধ্যমিকে কীভাবে মূল্যায়ন হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক হবে।” আপাতত দু’টি দায়িত্বেই তিনি বহাল থাকবেন।