রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই অবস্থায় নতুন করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল ইডি। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অনুব্রত জেল থেকে জামিনে আদৌ মুক্তি পাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বীরভূম জেলা জুড়ে আপাতত এই চর্চাই চলছে।
আদালতের এজলাসে বসেই অনুব্রত দলীয় কর্মীদের প্রতি যে কড়া বার্তা দিয়েছেন তাতে গোটা বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছিল। সেদিন অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর জেলার তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটে দলের রণকৌশল নিয়ে সেখানেই তাঁদের নির্দেশ দিতে দেখা যায় কেষ্টকে। এমনকী এটাও বলেছেন দলে কোনও রকম গ্রুপবাজি চলবে না। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি নিশ্চয়ই সারা জীবন জেলে থাকবেন না।
রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে তৃণমূল বীরভূমে যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়বে। অনুব্রত তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় যেভাবে ‘ভোট মেশিনারি’ প্রয়োগ করে তৃণমূলকে একের পর এক নির্বাচনে বিপুল সাফল্য এনে দিয়েছিলেন, তা তৃণমূলের অন্য নেতারা কতটা পারবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। বর্তমানে ইডি অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে নতুন করে জেরা করতে চাইবে।