পিএসির প্রথম বৈঠক ৩০ জুলাই, বৈঠক এড়াতে পারেন শুভেন্দু-মুকুল দুজনেই‍! কেন?

৩০ শে জুলাই পিএসির প্রথম বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে পিএসির চেয়ারম্যান মুকুল রায় উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। এদিকে, পিএসির সদস্য হিসাবে বৈঠকে থাকার কথা শুভেন্দুরও। রাজনৈতিক মহলের মত, মুকুলের সঙ্গে মুখোমুখি হতে চান না বলে বৈঠক এড়াতে চাইছেন শুভেন্দুও।

উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই প্রথম পিএসির মিটিং এর আগেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মামলাও রুজু হয়েছে হাইকোর্টে। মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত, মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান রেখে যাতে পিএসির বৈঠক না করা হয়, আদালতে সেই দাবি জানাতে পারে বিজেপি। জটিলতা রয়ছে পিএসির বাকি সদস্যদের কমিটি মিটিংয়ে থাকা নিয়েও। রাজনৈতিক মহলের ধারণা পরিষদীয় দলনেতা শুভেন্দু চান, আদালতে স্থগিতাদেশ না পাওয়া গেলে, আপাতত বাকি ৫ জন সদস্য কমিটির মিটিং বয়কট করুন। কিন্তু সূত্রের খবর, সে বিষয়ে সবাই শুভেন্দুর সঙ্গে একমত নাও হতে পারে। অনেকের মতে, তাহলে কমিটির বিষয়ে তো আমরা কিছুই জানতে পারব না। সূত্রের খবর, এ নিয়ে বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ২৬  জুলাই বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে বিধানসভায় ডেকেছেন শুভেন্দু।

পিএসিতে বিজেপির সদস্য ডঃ অশোক লাহিড়ী (বিজেপি চেয়েছিল তাকেই চেয়ারম্যান করা হোক) , শুভেন্দু অধিকারী, অম্বিকা রায়, মিহির গোস্বামী ও নিখিল রঞ্জন রায়। এই নেতাদেরই ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, এদের একাংশ মনে করে কমিটি থেকে সরে গেলে, বৈঠকে না থাকলে কমিটির অন্দরের কিছু জানতেই পারা যাবে না, প্রশ্নই তোলা যাবে না। এই কারণেই যাওয়া দরকার। বিশেষত অশোক লাহিড়ির মতো এই ধরনের আর্থিক কমিটিতে থাকা মানে, সরকার একপাক্ষিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে বিরোধীরাও। তাছাড়া অশোক লাহিড়ির সঙ্গে শুভেন্দুর ব্যক্তিগত সম্পর্কও সাপেনেউলে নয়।

রাজনৈতিক মহল বলছে, পিএসসি চেয়ারম্যান পদ থেকে মুকুল রায়কে সরাতে পারলে, শুভেন্দু অধিকারীর কাধ আরও চওড়া হবে। অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদির কাছে নম্বর আরও বাড়বে। সেই কারণেই মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বাকিদের তাগিদ ভিন্ন। অর্থের প্রশ্নও আছে। মিটিংয়ে গেলেই লক্ষ্মীলাভ। যদিও এটাকে সামনে রাখতে চাইছেন না কেউই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *