ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। গত শুক্রবার ভয়াবহ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অমরনাথ যাত্রা। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সেই ধাক্কা সামলে তিন দিনের মধ্যেই ফের স্বাভাবিক হল তীর্থ যাত্রা।
জানা যাচ্ছে সোমবার সকালে নুনওয়ান পহেলগাঁও এলাকা থেকে তীর্থযাত্রীদের একটি দল ফের এই যাত্রা শুরু করেছে। অন্যদিকে পহেলগাঁওয়ের ক্যাম্পে পৌঁছানোর জন্য জম্মুর মূল শিবির তথা বেস ক্যাম্প থেকেও তীর্থযাত্রীদের একটি দল ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির কারণে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েন অমরনাথ যাত্রার তীর্থযাত্রীরা। মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় ধস নামতে শুরু করে। সঙ্গে হড়পা বান। ধস নামে অমরনাথের মূল গুহার সামনেও।
ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ১৬ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ কমপক্ষে ৪০ জন। তাঁদের খোঁজ এবং সর্বোপরি উদ্ধার করতে দিনরাত এক করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন সেনা আধিকারিকরা।
অন্যদিকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরেই যাতে আর কোন বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য অমরনাথ যাত্রার জন্য আগত প্রায় ১৫ হাজার তীর্থযাত্রীকে তড়িঘড়ি দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এইসবের মধ্যেও সোমবার ফের অমরনাথের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করল তীর্থযাত্রীদের একটি দল।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালের মধ্যেই তাঁরা অমরনাথের মূল ফটকের সামনে পৌঁছে যাবে বলে খবর। অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর খুব ছোট এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে অমরনাথ যাওয়ার পথে এই বিপর্যয় ঘটেছে।
মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির পরেই অমরনাথ গুহার পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং তার জেরেই নিকটবর্তী শিবির হড়পা বানে ভেসে যায়। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বালতালের বেস ক্যাম্প। আর ওই ক্যাম্পে উপস্থিত থাকা তীর্থযাত্রীদের মধ্যেই এখনও ৪০ জনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে সেনা সূত্রে খবর।