আসন একটি, কিন্তু ভোট প্রার্থী পঁচিশ জন, জটেশ্বর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির আসনের চিত্র এমনটাই

আসন একটি। কিন্তু ভোট প্রার্থী পঁচিশ জন। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনের চিত্র এমনটাই।২০২৩ সালের ত্রিস্ত্ররীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাত্র একটি আসনের জন্যে এতো জন প্রার্থীর ভিড় রাজ্যে রেকর্ড বলেই দাবি আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের। মনোনয়ন পত্রের চুড়ান্ত স্ক্রুটিনির শেষে একটি নির্দিষ্ট আসনের জন্যে মোট পঁচিশ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দীতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় চোখ কপালে উঠেছে পঞ্চায়েত প্রশাসনের। পঁচিশ জন প্রার্থীর নাম একটি ব্যালটে ঠিক কীভাবে ছাপা হবে, হলেই বা তার আকার কী হবে তা নিয়ে চুল ছেড়ার দশা হয়েছে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালন মন্ডলীর।

তদন্তে ব্লক প্রশাসন জানতে পেরেছে যে, আদতে ওই নির্দিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির আসনটিতে ত্রিমুখী নির্বাচনি লড়াই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে। তাহলে বাকি বাইশ জন প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়টা কী? ব্লক প্রশাসনের অভিযোগ, ওই নির্বাচনি ক্ষেত্রের একটি বড়ো অংশ জুড়ে রয়েছে জটেশ্বরের পাল পাড়া। ওই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। যে বিয়ের তারিখের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ মিলে যায়। ব্লক প্রশাসনের অনুমান ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই নির্বাচনি সংবিধানকে হাতিয়ার করে পাঁচশো টাকা জমা করে নিজেদের নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন পাল গোষ্ঠীর সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা। তাতেই ব্যালট পেপার ছাপা নিয়ে তৈরি হয়েছে মারাত্মক জটিলতা। শেষে অবশ্য ওই ব্যালট পেপার ছাপার জটিলতা কাটানো গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের একটি বেসরকারি প্রেসে। যার দৈর্ঘ্য হয়েছে ৪৭ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ৩৫ সেন্টিমিটার। পঞ্চায়েত নির্বচনের ঠিক আগের দিন সংশ্লিষ্ট বুথে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পড়েছে ছয় জন মহিলা ভোট কর্মীর উপর। ওই ঢাউশ ব্যালট সামলে নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ করতে তাঁরা যে সফল হবেন তা আত্মবিশ্বাসে ও প্রত্যয়ের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন প্রমীলা বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *