আবারও ভুয়ো কাণ্ডে গ্রেপ্তার হল এক আধিকারিক

মারণ রোগ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার প্রধান উপায় টিকাকরণ এবং কড়া বিধিনিষেধ। তাই রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের পাশা পাশাপাশি টিকাকরণেও জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ নিয়ে উত্তাল রাজ্য। একের পর এক ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড নিয়ে যথেষ্ট উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই শহরে ফের গ্রেপ্তার ভুয়ো সরকারি আধিকারিক। গতকাল রাতে থিয়েটার রোড এলাকা থেকে ওই ভুয়ো অফিসারকে গ্রেফতার করে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম আসিফুল হক৷ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিল। বাজেয়াপ্ত তার নীল বাতি লাগানো বিলাসবহুল গাড়িও। বুধবারই তাকে আদালতে তোলা হবে।

মঙ্গলবার রাতে বেনিয়াপুকুরের দিকে রাস্তায় নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল ট্রাফিক পুলিশ। সেই সময় ওই গাড়িটা বেনিয়াপুকুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হয়। গাড়িটি দাঁড় করানো হয়। গাড়িটির গায়ে ভিআইপি লেখা ছিল। এছাড়াও সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্সের একটি বোর্ডও লাগানো ছিল। গাড়ির ভিতরে থাকা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন আধিকারিকরা। প্রথমে সে নিজেকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বয়ান বদল করে। জানায় সে নারকোটিক সেলের আধিকারিক। পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়। অভিযোগ, কোনওরকম পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি যুবক। এরপর বেনিয়াপুকুর থানায় খবর দেওয়া হয়।

কসবা কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য৷ প্রতি মুহূর্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা যাচ্ছে, শুধু ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডই নয়, বিপুল পরিমাণ আর্থিক জালিয়াতিতে জড়িয়ে দেবাঞ্জন৷ যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ এরই মধ্যে ধরা পড়ল আরও এক ভুয়ো অফিসার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *