রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এরই মাঝে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত রাজ্যে৷ এই পরিস্থিতিতে ৩০ নভেম্বর, ২০২২, এই সময়সীমার মধ্যে রাজ্যের প্রায় ৫৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এমন নির্দেশই দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মেধাতালিকায় পরীক্ষার্থীদের নম্বর বিভাজন-সহ সমস্ত তথ্য প্রকাশ করতে হবে বলেও নির্দেশ তাঁর৷
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা নিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে দু’দফায় নিয়োগ করা হয়। প্রথমটি ২০১৬ সাল এবং পরেরটি ২০২০ সালে। আর দু’দফা মিলে প্রায় ৫৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয় রাজ্যে। সেই সকল শিক্ষকের সমস্ত তথ্য দিয়ে সম্পূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষকদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর সহ উল্লেখ করতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় তথ্য৷
২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন মোট ২৩ লক্ষ প্রার্থী। তার মধ্যে পরীক্ষা দেন ২১ লক্ষ৷ যাঁরা পাশ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ৫৯ হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়৷ কিন্তু সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলেই অভিযোগ৷ সুবিচার চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ, কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে৷ অথচ তাঁদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে এখনও চাকরি পাননি।