নিম্নমুখী হলো তেলের দাম

দিন প্রতিদিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বাজার মূল্য৷ বাজারে গেলেই মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকায় হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তেও৷ সবজি থেকে মাছ, মাংস এমনকী দাম বেড়েছিল ভোজ্য তেলেরও৷ তবে এবার খানিক স্বস্তির খবর৷ ভারতীয় বাজারে নিম্নমুখী ভোজ্য তেলের দাম৷ গত সপ্তাহ থেকেই এই পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ অন্যদিকে, অতিরিক্ত গরমে চাহিদা কমেছে তেলেরও৷ এরই মধ্যে জোড় জল্পনা ইন্দোনেশিয়ায় ভোজ্য তেল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে৷ যার জেরে দিল্লির তেল-তৈলবীজের বাজারে সর্ষে এবং চিনাবাদাম তেলের দাম কমেছে।

গত বছরের তুলনায় এবছর কিন্তু, বিদেশি তেলের চেয়েও সস্তা সর্ষের তেল৷ আগে সর্ষের তেলের দাম থাকত বিদেশ থেকে আমদানি করা তেলের দামের চেয়ে বেশি৷ মূলত ইন্দোনেশিয়ায় ভোজ্য তেল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে দোসর হয়ে বাজারে প্রভাব ফেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ৷ এই আবহে চলতি বছর বিদেশি ভোজ্য তেলের দাম গত বছরের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ বেড়ে যায়৷

গত সপ্তাহে কুইন্টালে ১৫০ টাকা কমে সর্ষের তেলের দাম৷ ৭,৭১৫ থেকে কমে প্রতি কুইন্টাল তেলের দাম হয়েছে ৭,৬৬৫ টাকা। পাশাপাশি সর্ষে দাদরি তেলের দামও কুইন্টালে ৪০০ টাকা সস্তা হয়েছে। কুইন্টাল প্রতি ১৫,৪০০ টাকায় বিকোচ্ছে সর্ষে দাদরি। অন্যদিকে সর্ষে পাকা ঘানি এবং কাচ্চি ঘানি তেলের দামও ৬০ টাকা করে কমেছে। 

সস্তা হয়েছে সয়াবিনও৷ সয়াবিন দানা এবং খুচরো সয়াবিনের দাম আগের থেকে প্রায় ৫০ টাকা কমেছে৷ দাম কমেছে সয়াবিন তেলেরও৷ সয়াবিন দিল্লি, ইন্দোর এবং সয়াবিন ডেগামের দাম যথাক্রমে ৭২০ টাকা, ৭০০ টাকা এবং ৬৫০ টাকা সস্তা হয়েছে। এর ফলে এগুলির দাম যথাক্রমে প্রতি কুইন্টালে ১৭,০৫০ টাকা, ১৬,৫০০ টাকা এবং ১৫,৫৫০ টাকা হয়েছে৷ এছাড়া চিনাবাদাম তেল এবং তৈলবীজের দামও আগের তুলনায় সস্তা হয়েছে। গ্রাউন্ডনাট সলভেন্ট রিফাইন্ডের দামও ৬০ টাকা কমে ২৬৭৫ থেকে ২৮৬৫ টাকা হয়েছে।অপরিশোধিত পাম তেলও ৬০০ টাকা সস্তা হয়ে কুইন্টাল প্রতি ১৫২০০ টাকায় বিকোচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *