একুশে বিধানসভা ভোট পর্ব মিটলেও মেটেনি ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র। এই ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র নিয়ে দায়ের হয় মামলাও। সেই মামলায় হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতার হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ হয়ে গেল। ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বরং ১৮ তারিখের নির্দেশই বহাল থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোয় নতুন করে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। সোমবার দিনের শুরুতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদন শোনার পর তাঁরা তা খারিজ করে দেন। যুক্তি হিসেবে জানানো হয়, রাজ্যকে আগে সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও কাজ হয়নি। তাই সেই ভার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হাতে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। জানিয়ে দেন, রাজ্য বলছে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের কাছে হিংসার কোনও অভিযোগই জাম পড়েনি, অথচ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই রাজ্য সরকারের উপর একেবারেই ‘আস্থা’ নেই তাঁদের। এর জেরে এই মামমলায় আরও অস্বস্তিতে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে হিংসার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি৷ এই বিষয়ে বিশেষ তৎপরতা দেখিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লির দরবারেও গিয়েছেন তিনি৷ ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া মানুষদের ঘরে ফেরাতে গত ৩১ মে একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ তিন সদস্যের সেই কমিটিতে ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাজ্যের লিগ্যাল সার্ভিসের আধিকারিক। যদিও এই কমিটির কাজে সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট৷ নতুন একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ শুক্রবার আদালত জানায় রাজ্য লিগাল সির্ভিসেস অথরিটিত সদস্য-সচিবকে নিয়েই এই কমিটি গঠন করা হবে৷