কেন্দ্র সরকারের পর এবার রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের ট্রাফিক নিয়ম নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হলো৷ এবার থেকে লাঘু হবে এই নিয়মকানুন গুলো৷ দুর্ঘতনায় হ্র্রাস টানতেই তৎপর হয়ে এই ঘোষণা রাজ্যের ৷ বাড়ল জরিমানার পরিমাণ৷ ২০১৯ সালেই জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু রাজ্যের মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে এখানে তা লাগু করেনি সরকার৷ কিন্তু যে ভাবে শহরের পথে বেপরোয়া গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে, তাতে একের পর এক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে৷ দুর্ঘটনায় রাশ টানতেই এবার জরিমানা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷
কেন্দ্রীয় সরকারের মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট অনুযায়ী রাজ্যে জরিমানার পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে কত জরিমানা দিতে হবে৷ মোটা অঙ্কের জরিমানার ভয়ে চালকরা অনেক বেশি সতর্ক থাকবে বলে মনে করছে রাজ্য পুলিশ৷
ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা থেকে হেলমেট না পড়ে বাইক চালানো, যাত্রী প্রত্যাখ্যান, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকা, পারমিট না থাকা- প্রতিটি ক্ষেত্রেই জরিমানার পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মোট ২৬টি ট্রাফিক আইন ভাঙার ক্ষেত্রে জরিমানা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে খবর৷ নয়া নির্দেশিকা অনুসারে, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে চালককে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হবে৷
এছাড়াও কন্ট্রাক্ট ক্যারেজের পারমিট থাকা সত্ত্বেও চালক যেতে রাজি না হলে জরিমানা দিতে হবে৷ রোড সেফটি, বায়ু দূষণ ও শব্দদূষণ আইন ভাঙলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে৷ পাশাপাশি ৩ মাসের জন্য সংশ্লিষ্ট চালকের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। এছাড়াও, সাইলেন্স জোনে হর্ন বাজালে ২০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা, বেপরোয়া গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ ৪০০০টাকা, সিট বেল্ট না বাঁধার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷
পাশাপাশি গাড়ির বিমা ফেল করলে ২০০০ টাকা, হেলমেট না পরে গাড়ি চালালে ১০০০ টাকা, রেজিস্ট্রেশন না থাকলে ৫০০০ টাকা, রাস্তায় গাড়ি নিয়ে রেস করতে গিয়ে ধরা পড়লে ৫০০০ টাকা, যাত্রী প্রত্যাখ্যান করলে ৫০০ টাকা, টিকিট না কেটে বাসে চড়লে ৫০০ টাকা, পারমিট অথবা সিএফ ছাড়া গাড়ি চালালে ১০০০০ টাকা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন না থাকলে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হবে।