বিশ্বের প্রায় অর্ধেক দেশে দেখা মিলেছে স্টেলথ ওমিক্রনের

একের পর এক নতুন নতুন রূপে ধরা দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। ‘স্টেলথ ওমিক্রন’ নিয়ে চিন্তা প্রথম থেকেই বাড়ছিল। এটি আসলে ওমিক্রনের নয়া সাব-স্ট্রেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিএ.২। গত ডিসেম্বর মাসে এই নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছিল। তারপর থেকেই আতঙ্ক বাড়ছিল। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল যে, বিশ্বের প্রায় ৫৭ দেশের ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের এই সাব ভ্যারিয়েন্ট। অবশ্যভাবে এটি চূড়ান্ত ভাবনার বিষয়। তারা আরও জানাচ্ছে, ধীরে ধীরে এটিই হয়ে উঠছে সেই সব দেশের ‘ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট’। অর্থাৎ এই প্রজাতির এবার বাড়বাড়ন্ত দেখা দিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছিল যে, ওমিক্রনের মোট তিনটি সাব-স্ট্রেন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে যত ওমিক্রন সংক্রমণ হয়েছে, তার মধ্যে থেকে দেখা গিয়েছে যে ৯৯ শতাংশই বিএ.১ সাব-স্ট্রেন। এখন আবার বিএ.২ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হল। ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেনে মিলেছিল ওমিক্রনের এই নয়া প্রজাতি। দক্ষিণ আফ্রিকা, যেখানে ওমিক্রনের প্রথম খোঁজ মিলেছিল সেখানেও এই ভ্যারিয়েন্ট লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানাচ্ছে, ওমিক্রনের বিএ.১,বিএ.২ ছাড়াও একাধিক সাব ভ্যারিয়েন্ট যেমন বিএ১.১, বিএ.৩-র খোঁজ মিলেছে। এখন আপাতত বিশ্বের সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তাই হলফ করে বলা যায় যে এই ভ্যারিয়েন্টগুলির মধ্যে সদ্য খোঁজ মেলা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই এইভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

এই মুহূর্তে ৫৭ দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে এবং স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে, এই প্রজাতির থেকেই অধিকাংশ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত যেহেতু দেখা গিয়েছে যে ওমিক্রন আগের প্রজাতির মতো মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায় না, উপসর্গ মৃদু, তাই কিছুটা আশার আলো দেখা দিচ্ছে বিজ্ঞানী মহলের মধ্যে। যদিও ওমিক্রনের এই সাব ভ্যারিয়েন্টগুলি কী আকার নেবে পরে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে আবার জানা গিয়েছে, চলতি টিকা বা বুস্টার ডোজ ওমিক্রন ঠেকাতে পারবে না। তার জন্য দরকার নয়া টিকা! সেই নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *