প্রমোদনগরের ঘন জঙ্গলে হাতির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার

বন দস্যুদের নির্মমতার শিকার বন্য হাতি, ঘটনা খোয়াই জেলার কল্যাণপুর বন বিভাগের অন্তর্গত প্রমোদনগরের তুইরূপা ছড়ার ঘন জঙ্গলে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।  এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন,  কল্যাণপুর প্রমোদনগর তুইরূপা ছড়া ঘন বনাঞ্চলে রবিবার হঠাৎ করে একটা বন্য হাতির ক্ষতবিক্ষত পচার উপক্রম হওয়া মৃতদেহের অস্তিত্বের খবর সামনে আসে। এই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে দৌড়ঝাপ শুরু হয়। কল্যাণপুরের বিশাল পুলিশ সহ বনদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ময়না তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং ঘটনার তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হয় বণ দপ্তরের পক্ষ থেকে।

এদিকে জানা গেছে, এই হাতিটিকে নির্মমভাবে মাথার দুদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারপর হাতিটির মাথার একটা অংশ এবং পেছনের পায়ের একটা অংশ রীতিমতো কেটে ফেলা হয়েছে, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এবং বীভৎস।  অনুমান করা হচ্ছে বন দস্যুরা হাতির মূল্যবান দাঁত সংগ্রহ করার জন্যই এই নির্মমতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মহকুমা বন আধিকারিক গৌরব আর ওয়াঘ দাবি করেছেন গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে, দোষীদের খুঁজে বার করার সব রকমের প্রয়াস অব্যাহত বলেও দাবি করেন মহকুমা বন আধিকারিক। এদিকে বন দপ্তরের চিকিৎসক কেশব দেবনাথ দাবি করেছেন,, হাতিটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, হত্যা করার পর হাতির শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি মাংস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে পশু চিকিৎসক কেশব দেবনাথ জানিয়েছেন। এছাড়াও হাতির লেজ সহ মূল্যবান দাঁত বন দস্যুরা নিয়ে গেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আজ থেকে প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় আগে ২০১৪ সালে উত্তর মহারানীপুরের ঘন জঙ্গলেও প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল , যার তদন্ত সাপেক্ষ ফলাফল আজও অজানা। কাজেই এবারের এই ঘটনার তদন্ত কতটুকু ইতিবাচক ফল দেবে তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এদিকে প্রমোদনগরের ঘন জঙ্গলে হাতির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহের খবরে প্রমোদনগর সহ সন্নিহিত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।