জল্পনা তুঙ্গে চিনের প্রস্তুতি নিয়ে, তাইওয়ানকে ঘিরে একশোরও বেশি চিনা যুদ্ধবিমান

তবে কি সত্যি সূত্রপাত হবে যুদ্ধরে? মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান শহরের পর থেকেই একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে চিন এবং তাইওয়ানের মধ্যেকার সম্পর্ক। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মহলের একাংশের দাবি, তাইওয়ান এবং চিনের মধ্যেকার যুদ্ধ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের আকাশে দেখা মিলেছে একের পর এক চিনা যুদ্ধবিমানের। তাইওয়ানের সীমান্তেও থরে থরে সাজানো হয়েছে সাঁজোয়া গাড়ি, যুদ্ধের ট্যাংকার। এমতাবস্থায় নিজেদের আস্ফালন বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করল চিন।

যেখানে দেখা গিয়েছে তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেছে প্রায় একশোরও বেশি বিধ্বংসী চিনা যুদ্ধবিমান। চলছে তাদের মহড়া। প্রকাশ্যে এসেছে চিনের এই নতুন ভিডিও। বিশেষজ্ঞদের মত, এই ভিডিও প্রকাশ করে আসলে চিন তাইওয়ানকে আবারও নতুন করে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।

চিন এবং তাইওয়ানের মধ্যেকার সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি দেশ। চিনের আগ্রাসী নীতির তীব্র সমালোচনা করে বেজিংয়ের কাছে এই আগ্রাসন থামানোর অনুরোধ জানিয়েছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান।

কিন্তু এই মুহূর্তে কোনও দেশ তথা দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কথাইকানে তুলতে রাজি নয় চিন। আর তাই তাদের কথা রীতিমতো ফুৎকারে উড়িয়ে রবিবার ওই ভিডিও প্রকাশ করেছে বেজিং।

ভিডিওটি টুইট করে চিনের জাতীয় মিডিয়া গ্লোবাল টাইমসের তরফে লেখা হয়েছে, ‘তাইওয়ান ঘিরে যে মহড়া চালানো হচ্ছে, তার কিছু ঝলক। একশোরও বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হচ্ছে এই মহড়ায়। তাছাড়াও চিনের নতুন যুদ্ধবিমান ওয়াইইউ২০ও কাজে লাগানো হচ্ছে।’ শুধু বিমানেই শেষ নয়, ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে প্রস্তুতি নিচ্ছে চিনা সেনা। মিসাইল ছোঁড়ার দৃশ্যগুলিও তুলে ধরা হয়েছে ভিডিওতে। 

উল্লেখ্য, মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের হাত ধরেই শুরু হয়েছে এই আগ্রাসন। তাঁর সফরের আগেই চিনের তরফ থেকে আমেরিকাকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল মার্কিন স্পিকার যদি এই সফর করেন তাহলে তার চরম মূল্য দিতে হবে। কিন্তু সেই হুশিয়ারি এড়িয়েই গত সপ্তাহে, তাইওয়ানে পা রাখেন পেলোসি। এরপরেই তাইওয়ানকে ঘিরে মোট ছটি জায়গায় মহড়া শুরু করে চিন।

এমনকি বেশ কয়েকটি জায়গায় আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করে তাইওয়ানের অংশেও ঢুকে পড়েছে চিনের যুদ্ধজাহাজ। এই একই ঘটনার আবহে বুধবার জাপানের সমুদ্রে আছড়ে পড়েছিল চিনা মিসাইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *