উত্তরবঙ্গের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে আমেরিকান টার্কি মুরগি ফেরি করছেন কলকাতার বাসিন্দা মহম্মদ সাবিক। ডুয়ার্স এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করে জলপাইগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ছোট ছোট টার্কি মুরগির ছানা বিক্রি করছেন তিনি। কয়েকটি বড় টার্কিও রয়েছে তাঁর সঙ্গে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকা সহ বারাসাত, মধ্যমগ্রাম,বর্ধমান ও আসানসোল এলাকায় ব্যাপকহারে চাষ হয় টার্কি মুরগির।
সাবিক জানান, ওইসব এলাকা থেকেই আমেরিকান টার্কি কিনে ব্যবসা শুরু করেছেন। তিনটি টার্কির শাবক বিক্রি করছেন দুশো টাকায়। দু-চারটে করে অনেকেই কেনেন তাঁর কাছ থেকে। এই ছানাগুলো ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যেই দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়ে যায় বলে জানান। টার্কি চাষ করে অনেক বেকারদের স্বনির্ভর হওয়ার রাস্তাও দেখাচ্ছেন সাবিক। বলেন, আমেরিকান টার্কি মুরগির চাষ বরাবরই বেশ লাভজনক। ঠিকমতো লালন পালন করলে টার্কি চাষ করেও স্বনির্ভর হওয়া যায়। সাবিক জানান, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর, খড়িয়া ও বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় বেশ চাহিদা রয়েছে টার্কি মুরগির। টার্কি মুরগির ছোট ছোট ছানাগুলোকে স্বযত্নে লালন পালন করতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে তারা। টার্কির মাংসের বেশ চাহিদা রয়েছে বাজারে।