গত দুই বছর করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ এরই মধ্যে আবার মাঙ্কিপক্স নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে গোটা পৃথিবীতে। এই পরিস্থিতিতে এখন যেন এমন অবস্থা হয়েছে যে প্রতিদিনই কোনও না কোনও নতুন ভাইরাসের খোঁজ মিলছে। করোনা আতঙ্ক কাটতে এখনও ঢের দেরি বলেই মনে হচ্ছে কারণ সংক্রমণ আরও বাড়ছে।
এরই মাঝে একাধিক নয়া ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে বিশ্বে। আর তার মধ্যে নতুন সংযোজন ‘মারবার্গ’ ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, এই ভাইরাস মারাত্মক সংক্রামক, সামান্য ছোঁয়াতেই ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এর মৃত্যুহারও অনেকটা বেশি। তাই স্বাভাবিকভাবেই জনমানসে চিন্তা যে আরও বেড়েছে তা না বললেও বোঝা যায়।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় সম্প্রতি এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। জুলাই মাসের শুরুতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়। প্রথমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত হতে পারেনি ঘানার রিপোর্ট নিয়ে। তারা ওই দুই আক্রান্তের নমুনা সেনেগালের বিশেষ পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছিল।
সেখান থেকে পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওই দুই রোগী ‘মারবার্গ’ ভাইরাসেই আক্রান্ত ছিল। ফলে আতঙ্ক বৃদ্ধি পায়। এই ভাইরাস সম্পর্কে আরও জানা গিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৪ শতাংশের মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। যদিও পুরোটাই নির্ভর করে ভাইরাসের প্রজাতি এবং কত দ্রুত চিকিৎসা হয়েছে তার ওপর।
তবে তথ্য বলছে এটি পুরনো ভাইরাস যা এখন আবার ফিরে এসেছে। এর আগে ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ এবং ফ্রাঙ্কফুর্টে ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। আরও একটি মারাত্মক ভাইরাস ‘ইবোলা’র সঙ্গে এর অনেক মিল আছে। জার্মানি ছাড়াও পরে এই ভাইরাস উগান্ডা, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশেও ছড়িয়েছিল। এই রোগের মূল উপসর্গ ডায়রিয়া, জ্বর, বমি বমি ভাব।