বহু সেনা নিহত হয়েছে যুদ্ধে

একমাসের কাছাকাছি পৌঁছেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। ২০ দিন হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ। একাধিকবার দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হলেও এখনও সমাধান সূত্র মেলেনি। উলটে যত দিন যাচ্ছে তত সংঘাত এবং নিহত-আহতের সংখ্যা বাড়ছে। লাগাতার ইউক্রেনের নানা শহরে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ঘরে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে, বসতি এলাকায় বোমা মারছে, আছড়ে পড়ছে মিসাইল। এই পরিস্থিতির মধ্যেও হাল ছাড়েনি ইউক্রেন। এতদিন হয়ে গেলেও রাশিয়া দখল করতে পারেনি সে দেশ। এরই মধ্যে বড় দাবি করল ইউক্রেন প্রশাসন। তাদের বক্তব্য, এই ক’দিনে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার রাশিয়ান সেনা মারা পড়েছে।

যুদ্ধের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ ইউক্রেনের একাধিক শহর। প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে সেগুলি। লক্ষাধিক মানুষ ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন, ছাড়ছেন। কিন্তু ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়াকে আটকাতে কোনও পন্থা বাকি রাখছে না। সেই প্রেক্ষিতেই দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়ার প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার সেনা ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছে। এছাড়াও ১ হাজার ২৭৯ টি সাঁজোয়া গাড়ি, ৪০৪ টি ট্যাঙ্ক, ৬৪০ টি গাড়ি, ৩৬ টি অ্যান্টি ওয়ারফায়ার সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮১ টি যুদ্ধবিমান, ৯৫ টি কপ্টারও নষ্ট করেছে ইউক্রেন বাহিনী বলে দাবি তাদের। এই নিয়ে একটি তালিকাও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করেছে তারা।

তবে রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে রুশ ফৌজ। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে সকল রুশ নাগরিক প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷ শোনা গিয়েছে, যে সমস্ত রাশিয়ান নাগরিক এই যুদ্ধের বিরোধিতা করছে তাদের বেছে বেছে ঢোকানো হচ্ছে জেলে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে পুতিন সরকার। তাদের ‘অপরাধ’ রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতা করা। তবে এই গ্রেফতারি বা নজরদারি করেও প্রতিবাদ আটকানো যাচ্ছে না রাশিয়ার শান্তিপ্রিয় মানুষদের। সরাসরি কিছু না করতে পারলেও ইঙ্গিতবাহী চিহ্ন, কোড, পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জারি রাখছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *