ব্যাঙ্কের সমস্যায় অসম্পূর্ণ লক্ষীর ভান্ডারের বহু আবেদনপত্র

রাজ্য সরকারের ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে লক্ষীর ভান্ডারের আবেদন গ্রহণের কাজ। যার মধ্যে বহু আবেদন পত্র রয়ে গেছে অসম্পূর্ণ। প্রায় ৩৫ লক্ষ আবেদন অসম্পূর্ণ বলে জানা গিয়েছে যা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে নবান্ন। তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১ লক্ষের বেশি আবেদনকারীর নেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! এদিকে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় দেড় কোটির কিছু বেশি। সব মিলিয়ে প্রকল্পের কাজে গতি বাড়াতে পারছে না সরকার। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আবেদনকারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার ভাবনা করছে নবান্ন। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। আগেই জানা গিয়েছিল যে, নথি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য এই প্রকল্পের গতি শ্লথ হয়েছিল। 

ষষ্ঠীর দিন বিকেলেই ৮০ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা। শারদোৎসব উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের এই উপহার দিয়েছিলেন বলেই দাবি করেছিল নবান্ন। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর ২ মাসের টাকাই দেওয়া হয়েছিল। এতে রাজ্য সরকারের ৮৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৫৯ লক্ষ মহিলার আবেদন পত্র ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ৮০ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌছে গেছে। কিন্তু আপাতত সেই নথির সমস্যায় জর্জরিত এই প্রকল্প, সঙ্গে রয়েছে ব্যাঙ্কের সমস্যাও। এই ইস্যুতে আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। মোট বাজেট বরাদ্দ ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্প ঘোষণা করার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুজোর আগেই যেন বাড়ির মহিলাদের হাতে টাকা পৌছে যায়। সেই মতো এই উদ্যোগ নিয়েছে সমাজ কল্যাণ দফতর। উল্লেখ্য, প্রথমে বলা হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকলে পরিবারের প্রধান মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও পরিবারের অন্যান্য মহিলারাও এই সুবিধা পাবেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *