উত্তরাখণ্ডের উত্তর কাশি এলাকায় সুড়ঙ্গের কাজে গিয়ে ধ্বসে আটকে গেলেন তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদার। টিভিতে খবর দেখার পর দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের।অভাবের সংসারে পরিবারের সদস্যদের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দিতে উত্তরাখণ্ডে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন বলরামপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকাডোরা গেরগেন্দার পার এলাকার মানিক তালুকদার (৫০)।এই খবর শোনার পর থেকেই স্বামীর ছবি বুকে নিয়ে কেঁদেই চলেছেন মানিক বাবুর স্ত্রী সোমা তালুকদার। জানাযায় প্রায় ৬ মাস হলো মানিক বাবু উত্তরাখন্ডের উত্তর কাশি এলাকায় সুড়ঙ্গে হায়দ্রাবাদের এক কোম্পানির হয়ে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজে যায়। সেই সুড়ঙ্গে ধ্বস নামে।সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছে এবং তাদের মধ্যে বাংলার রয়েছে ৩ জন। ৩ জনের মধ্যে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের বলরামপুরের মানিক তালুকদার রয়েছেন। পরিবারের তরফ থেকে জানা যায় গত শনিবার শেষ বার কথা হয় পরিবারের সাথে। পরে টিভিতে খবর দেখতে পান যে বাংলার ৩ জন শ্রমিক সেই সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছে। এর পর মানিক বাবুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পরিবারের লোকজন কিন্তু মোবাইল বন্ধ থাকায়। কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি,এমন তার কোনও খবর কেউ দিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারের লোকজন। কোম্পানির তরফ থেকেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। মানিক বাবুর স্ত্রী সোমা তালুকদারের কাতর আবেদন করেনএকটু কথা বলার জন্য।কিন্তু কোনও ভাবে কেউ তার সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। পরিবারের একমাত্র রোজগারে ব্যাক্তির খবর না পেয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন।খবর পেয়ে রবিবার মানিক তালুকদারের বাড়িতে যান তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লক বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক অনিরুদ্ধ রায়।এই বিষয়ে মানিক তালুকদারের ছেলে জানিয়েছেন কোম্পানির তরফ থেকে কোনও সেফটি পাইপ রাখা হয় নি,আগে থাকলেও বর্তমানে সেটা খুলে ফেলা হয়েছে।সেফটি পাইপ না থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।