বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পুস্তিকা প্রকাশ করলো বামফ্রন্ট। আজ সিপিআইএমের কোচবিহার জেলা দলীয় কার্যালয়ে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। এই পুস্তিকায় মূলত বলা হয়েছে উত্তরবঙ্গের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন এর নেতৃত্বরা। অনন্ত মহারাজ, বংশী বদন বর্মনরা সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরছেন না। বিভিন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিজেপি এদের ব্যবহার করে ভোট বাক্স ভরছে। কোচবিহাকে ‘গ’ শ্রেণীর পৃথক রাজ্যের দাবি করা হচ্ছে। গ্রেটার কোচবিহারে দাবিদাররা কোচবিহার রাজ্যের ভারত ভূক্তি চুক্তির বিষয়গুলি সংবিধানের ৩৬২ নং ধারায় উল্লেখ করা আছে বলে প্রচার করছে অথচ তারা বলছে না ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২৬ তম সংবিধান সংশোধনী মাধ্যমে দেশীয় রাজাদের রাজন্য ভাতা সহ সুখ সুবিধা সম্বলিত সংবিধানের ৩৬২ নং ধারাটি বাতিল করা হয়েছে।
বামেদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এই পুস্তক “বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বিভেদকামী দের পরাস্ত করুন” টিতে মূলত কোচবিহারে রাজা এবং ভারত সরকারের চুক্তি এবং এই চুক্তির পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
বামেদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপি রাজবংশী ভোট নিজেদের দখলে রাখার জন্য দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের যেমন ব্যবহার করছে পাশাপাশি রাজবংশী মানুষকে বোকা বানিয়ে সুবিধা ভোগ করছে অনন্ত মহারাজ এবং বংশীবাদন বর্মনরা।