দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন চালু করল ইন্দোনেশিয়া। চিনের সহায়তায় কয়েক বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করেবুলেট ট্রেন ‘হুশ’-এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার (২১৭ মাইল)। এই ট্রেনে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে বান্দুং শহর যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট, দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। আগে এই দূরত্ব যেতে সময় লাগত প্রায় ৩ ঘণ্টা।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জাকার্তা-বান্দুং বুলেট ট্রেন এ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি মাইলফলকস্বরূপ। এটি এ দেশের গণপরিবহণের আধুনিকীকরণের প্রতীক। এর মাধ্যমে দেশের অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপিত হবে’। প্রেসিডেন্ট আরও জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম বুলেট ট্রেন একবারে ৬০১ জন যাত্রী পরিবহণ করতে সক্ষম।
কেন নাম ‘হুশ’? এই ব্যাখ্যায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো যা বলেছেন, তাতে বাঙালিরাই সম্ভবত আহ্লাদিত হবেন বেশি। তিনি বলেছেন, ট্রেন এলে যে শব্দ হয়, সেটা অনেকটা ওই ‘হুশ’ শব্দের মতো! তাই বুলেট ট্রেনটির জন্য এই নামই বেছে নিয়েছি আমরা ।আর, কী আশ্চর্য বাংলায় একটি শব্দই আছে, ‘হুশ’! ধ্বনিবাচক শব্দ। কোনও কিছু খুব দ্রুত গতিতে এলে বা গেলে বাঙালি বলে থাকে, হুস করে গেল বা হুস করে এল!