করোনা সংক্রমণ রোধে একমাত্র উপায় টিকাকরণ। তাই টিকাকরণের ওপরেই সব চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ভুয়ো টিকা কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য৷ খাস কলকাতায় রমমিয়ে চলছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্র। দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কাণ্ডে কলকাতার নিউমার্কেট থানায় ধৃত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। টানা দশদিন ধরে কসবায় করোনার টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছিল দেবাঞ্জন দেব। দেবাঞ্জন দেবের দ্বারা চালানো টিকাকেন্দ্র আসল টিকা বলে কিছুই ছিল না। জলের সঙ্গে পাউডার মিশিয়ে সেগুলো মানুষের শরীরে পুশ করে দেওয়া হয়েছে মাত্র।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা সরকারের সবথেকে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড। তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ওই ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়ে এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। করোনা টিকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এবার বেআইনিভাবে এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চালানোর জন্য ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল কলকাতা পুরসভা। ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় জেরা করেছে পুলিশ। জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডের সঙ্গে ১৩ জনের একটি দল জড়িত রয়েছে। তারাই নিজেদের স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে ওই টিকা দেওয়ার কাজ করত।
ইতিমধ্যেই তদন্তের দায়ভার গ্রহণ করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অন্যদিকে গোয়েন্দা আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, শুধু কসবাতেই নয়, এর আগেও ওই দলটি উত্তর কলকাতার একটি কলেজে টিকাকরণ কর্মসূচি আয়োজন করেছিল।