সাধারণত কলকাতা মহানগরের নিকাশি এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পূর্ব কলকাতার কিডনি জলাভূমির। শহরের কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই জলাভূমির। তাছাড়া মাছ ও সব্জি মিলিয়ে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের জীবিকা নির্ভর করছে এই জলাভূমির ওপর। এই জলাভূমি বাঁচাতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের পরিবেশ দফতর।
এই জলভূমি এলাকায় একের পর এক তৈরি করা হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে অবৈধ নির্মাণ রুখতে নজরদারি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম(TS Sivagnam) এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের (Hiranmoy Bhattacharya) ডিভিশন বেঞ্চ ৮ সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে এই কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি পূর্ব কলকাতা জলাভূমি নিয়ে যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাকেও কার্যকর করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সাধারণত কলকাতার পাঁচটি প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১৭ কোটি ৯০ লক্ষ ২১ লিটার তরল বর্জ্য পরিশোধন হয়। সেখানে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি প্রাকৃতিক উপায়ে রোজ কোনও খরচ ছাড়াই ৯১ কোটি লিটার তরল বর্জ্য শোধন করে। ফলে এই জলাভূমিকে রক্ষা করা খুব প্রয়োজন। এই অবস্থায় সেখানে অবৈধ নির্মাণ হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। আদালতের নির্দেশ এই কমিটিতে জেলা শাসক, মৎস্য দফতর, পরিবেশ দফতরের অফিসাররা থাকবেন। এই জলাভূমির উপরে একটি সেতু অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে জলাভূমি কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সেই সেতুর ধ্বংসাবশেষ খালের মধ্যে পড়ে রয়েছে। যার ফলে খালের স্বাভাবিক জলপ্রবাহ ব্যহত হয়েছে।