অবশেষে অবসান ঘটলো সমস্ত জল্পনার। সব জল্পনাকে সত্যি করে কংগ্রেসের যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার। দলের সঙ্গে দূরত্ব থেকেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসে এলেন জিগনেশ মেওয়ানিও। এদিন কংগ্রেসের রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার উপস্থিতিতে তারা এই দলে জগদান করলেন। পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুলের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে এ দিন যোগ দেন কানহাইয়া এবং জিগনেশ। তবে সিপিআই দলের অন্দরেই কানহাইয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথমত তারা এটাই বুঝতে পারছেন না যে হঠাৎ করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত কেন নিলেন কারণ, দলের কোন পদের জন্য কখনও দাবি করেননি কানহাইয়া। তাই হঠাৎ করে এই দলবদল কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দলের অনেকেই।
শুধু কানহাইয়া নন, গুজরাটের নেতা জিগনেশ মেওয়ানিও কংগ্রেসে যোগ দিলেন আজ। গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি হার্দিক প্যাটেল এই দুই যুব নেতা আর কংগ্রেসের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এও শোনা যাচ্ছে যে, কংগ্রেসে কানহাইয়া কুমারের যোগদানের পিছনে বিধায়ক শাকিল আহমেদ খান বড় ভূমিকা পালন করেছেন। জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংঘের প্রাক্তন সভাপতি তথা সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার আর গুজরাটের নির্দলীয় বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানি রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম কোনও নামীদামী ব্যক্তিক্ত কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সিপিআই-এর টিকিটে বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়েন কানহাইয়া। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে জিততে পারেননি, প্রায় ৪ লক্ষ ভোটে হেরেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, জিগনেশ ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বদগাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন।