জয়নগরের শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা নিজের ও আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর অভিযোগ উঠল। তার বিরুদ্ধে প্রায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকার হেরফের করার অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্কুলকর্মী ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সন্দীপ রায় নামে সেই ব্যক্তি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেন শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ে। কোথায় কত কী লেনদেন হচ্ছে, কোন খাতে কত টাকা আসছে সবই তাঁর জানা ছিল। বাসনা লস্কর নামে এক ছাত্রীর কথায়, “স্কুলে গিয়ে জানতে পারলাম যে অ্যাকাউন্ট নম্বরটা দেওয়া রয়েছে সেটা আমার অ্যাকাউন্ট নম্বরই নয়। অন্য একটি মেয়ের। আমি বাবাকে জানাই। বাবা স্কুলে গিয়ে কথা বলে। এরপর শুনলাম অন্যের কাছে টাকা চলে গিয়েছে।”
সপ্তাহখানেক ধরে বেশ কয়েকজন এসে অভিযোগ জানান, তাঁদের মেয়ে কন্যাশ্রীর টাকা পায়নি। সেখানে এমন বহু ছাত্রী আছে যাদের নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু ব্যাঙ্ক ডিটেইলটা অন্য কারও। কিছু ক্ষেত্রে আবার ডবল এন্ট্রি হয়েছে। এরপরই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের এ সমস্ত কাজ যিনি দেখতেন সন্দীপ রায় তাঁর হাতেই এ সমস্ত কাজ হয়েছে।অভিযুক্ত সন্দীপ রায় ইচ্ছাকৃত ভাবেই এ কাজ করেছেন বলেও স্বীকার করেন।
এরপরই সন্দীপের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ জয়নগর থানায় এফআইআর করে। তারই ভিত্তিতে সন্দীপ রায় ও তাঁর বাবা অনুপ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।