জুবিন মিত্র – এক সৃষ্টিশীল গায়ক ও সঙ্গীতস্রষ্টা

একজন কনসেপচুয়াল আর্টিস্ট, এডিটর ও মিউজিক কম্পোজার জুবিন মিত্রের জন্ম ১৯৮৮-র ৯ জুন। জন্ম থেকে গড়েবেড়ে ওঠা – সবই কলকাতায়।

‘ট্রিবিউট টু আলি আকবর খান’ নামের একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মে ভিসুয়াল আর্টিস্ট হিসেবে প্রথম কাজ করার সুযোগ পান জুবিন। জুবিন ড্যান্সার হিসেবে কলকাতায় মমতাশঙ্কর ড্যান্স কোম্পানিতে যোগ দেন। সেখানে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে করতে থ্রী-ডি আর্টিস্ট রূপে তাঁর প্রথম বড় কাজের সুযোগ আসে ‘ফ্রেন্ডস’ বাংলা মুভিতে (২০০৯) । মমতাশঙ্কর ড্যান্স কোম্পানিতে থাকাকালীন নাচের জন্য তিনি অনেক ইন্দো-ইউরোপিয়ান কনসার্টের স্বীকৃতিও পেয়েছেন।

সাম্প্রতিক ‘ডিভাইন ইমোশন’-এ তাঁর ভূমিকা যথেষ্ট প্রশংসা অর্জন করেছে, যা ‘লিফট-অফলাইন’ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নমিনেশনও পেয়েছে। শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও কনসেপচুয়াল আর্টিস্ট রূপে তিনি প্রশংসণীয় কাজ করেছেন। ফিল্মে জুবিনের আত্মপ্রকাশ ঘটে টলিউডের ‘ক্রস কানেকশন’ ছবিতে। এরপর তাঁকে পাওয়া যায় ‘ফ্লাইট অফ ফ্যান্টাসি’তে, যেখানে তাঁর কোরিয়োগ্রাফি দর্শকদের নজর কেড়ে নেয়।

জুবিন সম্প্রতি জি-বাংলা সা-রে-গা-মা-পা’র কয়েকজন খ্যাতনামা সিঙ্গারের সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিয়োর শ্যুটিং সমাপ্ত করেছেন। অতিমারির মতো পরিস্থিতিতেও কোনও কিছুই তাঁর সৃষ্টিশীলতাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। পরবর্তীতে আসার অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর ‘ও রে মানুষ রে’, ‘তোর চোখে’, ‘তোমার চোখে’, ‘ধোঁয়াশায় মন’ ও ‘অচেনা শহর’।

জুবিন চ্যালেঞ্জ পছন্দ করেন। ভূমিকা যতই ছোটো হোক না কেন, যাতে আরও সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠা সম্ভব হয় সেজন্য কঠিন কাজেই তাঁর ঝোঁক বেশি। জুবিনের কাছে নৃত্য হল এমন একটি উপাদান যা তাঁকে নানারকম ঘরানায় বেশিমাত্রায় সক্রিয় হতে সাহায্য করেছে – সঙ্গীত থেকে সঙ্গীতরচনা ও এডিটিং থেকে ভিসুয়াল ডেভেলপমেন্ট। এ যেন অডিয়ো ও ভিডিয়ো মাধ্যমের মধ্যে সেতুবন্ধন, আর এই বিষয়টিই তাঁর নিজের প্রোডাকশন ‘জুবিনআর্ট’-এ প্রতিফলিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *