স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অভিযোগ নিয়ে জরিমানার নির্দেশ

তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফেরার আগের থেকেই একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে একটি হলো স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প শুরু করার পর মনে করা হয়েছিল এতে অনেক রোগী সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে এই কার্ড নিয়ে অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। শুধু সমস্যা বললে ভুল হবে, এই কার্ড নিয়ে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। এর আগে অনেক হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল এই কার্ড গ্রহণ না করার। তার প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নবান্ন কিন্তু আদতে কিছুই হয়নি। এবার রোগী না থাকলেও কার্ডের জন্য বিল বাড়ছে, এমন অভিযোগ সামনে আসছে। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার ৩ টি বেসরকারি নার্সিংহোমকে বড় জরিমানা করেছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, একটি নার্সিংহোমকে ৩৮ লক্ষ টাকা, অন্য একটিকে ১৮ লক্ষ টাকা এবং তৃতীয় নার্সিংহোমকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই তিনটি নার্সিংহোম বাঁকুড়ার। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্দিষ্ট রোগী ডিসচার্জ হয়ে চলে যাওয়ার পরেও নার্সিংহোম তার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রেখে দিয়েছিল। রোগী নার্সিংহোমে নেই কিন্তু তার চিকিৎসার খরচ রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে ওই কার্ডের ভিত্তিতে। এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের তদন্তে নেবে এই রকম ২১ জনের কার্ড সংগ্রহ করে এবং ওই নার্সিংহোম গুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়।

এর আগে একাধিকবার শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণ না করার। সেই প্রেক্ষিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে আখেরে কোন লাভ হয়নি কারণ এই ধরনের অভিযোগ আজ পর্যন্ত আসছে। তবে এইভাবে কার্ড আটকে রেখে রোগী না থাকা সত্ত্বেও কার্ডের খরচ তোলা, সত্যিই অনভিপ্রেত ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *