কদিন আগেরই ঘটনা। অখিলেশ যাদবের হয়ে বারাণসীতে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচনী প্রচার সেরে কলকাতা ফেরার বিমানে ওঠেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। অবতরণের সময়ে বিমানে বিভ্রাট ঘটে। সেই নিয়েই তুমুল হইচই। এদিন এই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রের আইনজীবী সাফ জানালেন, কোনও গাফিলতি ছিল না। তবে এই মামলায় সেন্ট্রাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্লদ্বল ভট্টাচার্য আদালতে স্পষ্ট দাবি করেন, সেদিনের ঘটনায় কোনও গাফিলতি ছিল না। তবে কেন্দ্রের নিরাপত্তা মন্ত্রকের রিপোর্টে সব উল্লেখ আছে। কিন্তু সেই রিপোর্টের গোপনীয়তা রক্ষার প্রয়োজন। তাই সেই রিপোর্ট আদালতে ওপেন করে দেওয়া যাবে না। তবে আদালত চাইলে সেই রিপোর্ট শুধুমাত্র বিচারপতির কাছে পেশ করা যেতে পারে। এই বক্তব্যের পর প্রধান বিচারপতি বলেন, কেন্দ্রকে ওই রিপোর্ট হলফনামার মাধ্যমে সিল খামে জমা করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুলাই। গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তাঁর বিমানটির সামনে অন্য একটি বিমান এসে গিয়েছিল। পাইলট দক্ষতার সঙ্গে বিমানটি নামিয়ে আনায় অল্পের জন্য রক্ষা পয়েছেন। ১০ সেকেন্ডের জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷
কেন বারবার সমস্যার সম্মুখীন হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান? জবাব চেয়ে এর আগে কেন্দ্রের কাছে হলফনামা তলব করল আদালত৷ দমদম বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। দু’দিকে দুলতে দুলতে বিমানটি নীচে নেমে আসতে থাকে। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার নীচে নেমে আসে বিমানটি। এই ঘটনার পর ডিজিসিএ-কে চার্জ দেয় রাজ্য সরকার। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য এটিসি’র অনুমতি নিয়েই বিমানটিকে নিচে নামিয়ে এনেছিলেন পাইলট৷