চলতে থাকা যুদ্ধের মাঝেই পরমাণু হামলা নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা

চলতি বছরের শুরুর দিকে সূত্রপাত ঘটেছিল রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের৷ বছর ঘুরে শেষ হতে চললেও যুদ্ধ চলছে অবিরাম গতিতে৷ এরই মাঝে আশঙ্কা বাড়ছে পরমাণু হামলা নিয়ে। বিগত বেশ কিছু বছর আগে পরমাণু বোমার হানায় জাপানের দুই শহর হিরোশিমা এবং নাগাসাকি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যু হয় কয়েক লক্ষ মানুষের। আর যারা বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁদের হাজারো শারীরিক সমস্যা নিয়ে গোটা জীবন অতিবাহিত করতে হয়। এখনও সেই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি তাড়া করে বেড়ায় শহরদুটিকে।

আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নতুন করে সেই প্রসঙ্গ তুলে আনলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আট মাস পেরিয়ে গিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামছে না। তিনি বলেছেন, হিরোশিমা ও নাগাসাকির বিরুদ্ধে হামলা করে যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লড়া হয়েছিল, সেভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সবারই আশঙ্কা, এবার হয়ত ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালাবে রাশিয়া।

রাশিয়ার ৭০ রাজার সৈন্য এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বহু যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক ইউক্রেন ধ্বংস করেছে। ইউক্রেনের যেমন হাজার হাজার সেনা এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, উল্টোদিকে রাশিয়ারও ক্ষতি কম কিছু হয়নি। বহু মানুষ রাস্তায় নেমে যুদ্ধ ইস্যুতে পুতিনের বিরোধিতা করেছেন। তাই রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে যেভাবে হিরোশিমা এবং নাগাসাকির কথা শোনা গিয়েছে তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে গোটা বিশ্বের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *