তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে কথা তার নিরাপত্তা সবার আগে। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকেন তিনি। এতো নিরাপত্তার আগেও আচমকাই এক অগ্যেত ব্যক্তির তার বাড়িতে আগমন ঘটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে নবান্নে নিষিদ্ধ হয়ে গেল মোবাইল ব্যবহার।
নবান্নে কর্তব্যরত সমস্ত পুলিশ কর্মীকে মোবাইল জমা রেখে তবে ভিতরে ঢুকতে হবে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেও মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম লাগু হতে চলেছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এক যুবকের ঢুকে পড়ার ঘটনায় তাজ্জব পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটতে পারে তার কূলকিনারা এখনও পাওয়া যায়নি। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই যুবক তাঁর বাড়িতে ঢুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকল তা বোধগম্য হচ্ছে না।
এই অবস্থায় আগেই লালবাজার তাঁর সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অতিরিক্ত আরও ১৮ জন কনস্টেবল মোতায়েন করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সিসিটিভির সংখ্যা। একই সঙ্গে যে সমস্ত টহলদারি ভ্যান থাকে তার সংখ্যাও বাড়ানো হবে। তারও আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হল।
যুবক মানসিক ভাবে সুস্থ নয় এবং লোহার রড নিয়ে ঢুকেছিল বলেই জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সামনে চলে এলে কী হতে পারত তা ভেবেই অনেকে আতঙ্কিত হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ। তাঁর আবার বক্তব্য, তিনি নাকি লালবাজার ভেবে ভুল করে পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। ধৃত হাফিজুল জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে তিনি কলকাতা পুলিশের সদর দফতর বলে ভুল করেছিলেন৷ কিন্তু গভীর রাতে ঠিক কী কারণে তার লালবাজারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল তাঁর? এই উত্তর অবশ্য মেলেনি।