ডিলারদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করল খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। সেক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলেই জরিমানার পাশাপাশি ডিলারদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।সম্প্রতি খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রেশন দোকানে বরাদ্দ করা অতিরিক্ত চাল গম যতটা পরিমাণ থাকবে তার তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। মূলত রেশনের সামগ্রী পাচার রোধেই এরকম পদক্ষেপ খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের।
ডিলারের কাছে কতটা পরিমাণে চাল, গম, আটা মজুদ রয়েছে, তা নিয়মিত খতিয়ে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রেশন দোকান থেকে কতটা পরিমাণে চাল, গম বণ্টন করা হচ্ছে তা ই পস মেশিনে বোঝা যায়। আর তার হিসাব না মিললেই সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিলারকে জরিমানা করা হবে। রেশন দোকানে স্টক গোপনে যাচাই করবেন খাদ্য দফতরের ইন্সপেক্টররা।
রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্র থেকে যে কাগজে স্লিপ বেরিয়ে আসে তাতে খরচ উল্লেখ থাকবে। দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে নতুন ধরনের স্লিপ চালু হয়েছে। তাতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে কেন্দ্র কত টাকা দিচ্ছে সে বিষয়টিও উল্লেখ থাকবে। যদিও প্রথমে রাজ্য সরকার এই নিয়ম চালু করার পক্ষে ছিল না । রাজ্যের বক্তব্য, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারেরও কিছু খরচ হয়ে থাকে। রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের বক্তব্য, স্লিপে কীভাবে সরকারি খরচের উল্লেখ করা হবে, তার জন্য প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।