বয়সকালে বেড়াতে যাওয়ার আগে জেনে নিন জরুরি বিষয়গুলি

বয়সকালে লোকে একসময় তীর্থে যেতেন। এখন দিন বদলেছে। পাল্টে গিয়েছে ভ্রমণের সংজ্ঞাও। বয়স হওয়া মানেই এখন আর ঘরের এক কোণে পড়ে থাকা বা তীর্থে যাওয়া নয়। বরং আশি পার করেও এখন অনেকে পাহাড়ে চড়ছেন, কেউ কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন। আবার কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশে-বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছেন।

তবে বয়সকালে দেশে বেড়ানোর পরিকল্পনা করুন অথবা বিদেশে, কিছু প্রস্তুতি থাকলে ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে মসৃণ। প্রবীণদের নিয়ে বেড়াতে গেলে বা বয়স্কেরা নিজেরাই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে বিপদ-আপদের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা: দেশের মধ্যে বেড়াতে যান বা বিদেশে, যাওয়ার আগে অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন। বয়সকালে এমনিতেই শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। তার উপর লম্বা বেড়ানোর পরিকল্পনা থাকলে বা বেশি উচ্চতার জায়গায় গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসককে দিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা করিয়ে নিন। দিন মেপে ওষুধ না নিয়ে সাথে বাড়তি ওষুধ রাখুন।

হাতে সময় রাখুন: ঝটিতি সফর নয়, বরং শরীরকে বিশ্রাম দিয়ে যাতে বেড়ানো যায় সে ভাবেই পরিকল্পনা করুন। বয়স হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে টানা যাত্রার ধকল সামলানো কঠিন হতে পারে। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ধীরে-সুস্থে সময় নিয়ে বেড়ালে সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।

ভ্রমণ-বিমা: বয়স্কদের জন্য ভ্রমণ বিমা ভীষণ দরকারি। বিদেশে আচমকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হলে কিংবা বেড়ানো বাতিল করতে হলে বিমা থেকে ক্ষতিপূরণ মিলবে। এছাড়া, বিদেশে গিয়ে ব্যাগ হারালে, টাকা খোয়া গেলেও বিমা থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।

ভিসা এবং জরুরি কাজ: যাওয়ার আগে পাসপোর্ট ভিসার মেয়াদ ঠিকমতো আছে কি না, ভাল করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন। বহু দেশেই পাসপোর্টের বৈধতা অন্তত ছ’মাস না থাকলে সেখানে যাওয়া যায় না। এ ছাড়াও বিদেশ-বিভুঁইয়ে যেতে গেলে সেই দেশের নিয়মকানুন জেনে রাখা জরুরি। তাছাড়া অনেক কাগজপত্র, নথিরও দরকার হয়। তাই যাওয়ার আগে অন্তত দু’বার করে দেখে নিন সব ঠিকঠাক আছে কি না।

যোগাযোগ রেখে চলা: জরুরি ফোন নম্বর সঙ্গে রাখুন। একই সঙ্গে বিদেশে যেতে হলে ফোন রোমিং করিয়ে নিতে পারেন। এতে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ হবে। কোনও ভ্রমণ সংস্থা মারফত গেলে তাদের নম্বর, বিদেশে গেলে সাহায্য পেতে পারেন, এমন আত্মীয়-স্বজনের নম্বরও সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। বিশেষত পরিবার ছাড়া প্রবীণেরা বেড়াতে গেলে, বাড়ির লোকজনকে বেড়ানোর প্রতিটি ধাপ জানিয়ে রাখা জরুরি।