গোছগাছ ঠিক মতো না হলে, অনেক সময়ে ভ্রমণের আনন্দই মাটি হয়ে যায়। তাই বাড়ির বাইরে পা রাখতে হলে আগে ঠিক মতো সঙ্গের ব্যাগটি গুছিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহান্তের সফর এবং এক মাসের ভ্রমণ এক নয়। তাই উভয় ক্ষেত্রেই গোছগাছের ধরনও আলাদা হবে। এ ছাড়াও মাথায় রাখতে হবে, গ্রীষ্মকালের গোছগাছের সঙ্গে শীতকালের গোছগাছের পার্থক্য আছে। তবে ৫টি পরামর্শ মেনে চললে যে কোনও ভ্রমণের ক্ষেত্রেই সুবিধা হবে।
১) ব্যাগের ধরন: বড় ব্যাগের মধ্যে ছোট ছোট ব্যাগ (প্যাকিং কিউব) আলাদা করে কিনতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে জামাকাপড় রাখতে পারলে তা ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। এছাড়াও একটি ছোট ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ সঙ্গে রাখলে প্রয়োজনীয় নথি, ফোন, ক্যামেরার মতো বৈদ্যুতিন জিনিস রাখা যায়।
২) পোশাক: অনেক সময়েই আমরা প্রচুর পরিমাণে পোশাক সঙ্গে নিই। এর ফলে ব্যাগের জায়গা নষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে ৫, ৪, ৩, ২, ১ পদ্ধতি অনুসরণ করলে সুবিধা হয়। অর্থাৎ সপ্তাহান্তের ভ্রমণ হলে এই তালিকা অনুসারে নিতে হবে—
- ৫ জোড়া মোজা এবং অন্তর্বাস।
- ৪টি টপ বা ঊর্ধ্বাঙ্গে পরার পোশাক।
- ৩টি বটম বা নিম্নাঙ্গে পরার পোশাক।
- ২ জোড়া জুতো।
- ১টি টুপি বা অন্য কোনও অ্যাক্সেসরি।
৩) ভাঁজের কেরামতি: ছোট ছোট জিনিসপত্র ব্যাগের মধ্যে গুটিয়ে নিতে পারলে জায়গা বাঁচবে। অন্য দিকে বড় পোশাকগুলি ভাঁজ করে নিলে সুবিধা হয়।
৪) শিশি বোতলের ভিড়: বাথরুমের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন তেল, সাবান, ক্রিম শিশি বা বোতলের পরিবর্তে ছোট পাত্রে ঢেলে সঙ্গে নেওয়া উচিত। এখন বেশিরভাগ হোটেলেই ব্রাশ, সাবান, শ্যাম্পু দেওয়া হয়। ফলে সেগুলি আর সঙ্গে নেওয়ার দরকার হয় না।
৫) শূন্যস্থান: সমস্ত গোছগাছ শেষ হওয়ার পরেও ব্যাগে যেন এক তৃতীয়াংশ জায়গা খালি থাকে। খালি না থাকলে, বেশিরভাগ সময়েই তখন নতুন ব্যাগ কেনার প্রয়োজন হয়। ভ্রমণের সময় কেনাকাটা এবং অন্যান্য পরিস্থিতিতে ধরেই নিতে হবে, ওই জায়গাটির প্রয়োজন হবে।