পণের লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়াই খোলা রাস্তায় আক্রান্ত হতে হল স্ত্রীকে। গুরুতরভাবে জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্ত্রী। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল মালদহের চাঁচলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ওই গৃহ বধূর নাম রুজি খাতুন (২০)। বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বরুই এলাকায়। পরিবারের সম্মতিক্রমে মাস ছয়েক আগে চাঁচল থানার সিঙ্গিয়া এলাকার যুবক আব্দুল গনির সঙ্গে বিবাহ হয় রুজি খাতুনের। বিয়ের পর থেকে শুরু হয় নানান অশান্তি। বিয়ের পনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে নানান অত্যাচার শুরু করে স্বামী আব্দুল গনি। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ। নির্যাতিতার মা ছবি খাতুন সম্পত্তি বিক্রি করে জামাইয়ের দাবি মতো পনের লক্ষ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন কিন্তু তারপরেও আরো টাকার চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্ত আব্দুল গনি। কিন্তু মেয়ের পরিবার জামাইয়ের দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ। এরপরই রুজি খাতুনের কাছ থেকে বিচ্ছেদ চান আব্দুল গনি। বিচ্ছেদের পরে রুজি খাতুন বিয়েতে দেওয়া পণের টাকা স্বামীর কাছে ফেরত চাইতে গেলে অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল গনি বেধড়ক মারধর করেন তাকে, শুধু তাই নয়, আজ সকালে চাঁচলের নেতাজি মোড়ে চাকু দিয়ে স্ত্রীর মুখে আঘাত করেন স্বামী আব্দুল গণি বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় নেতাজি মোড় এলাকায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি করে জখম রুজি খাতুনকে চাঁচল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এরপরই গোটা ঘটনা নিয়ে চাঁচল থানায় অভিযুক্ত জামাই আব্দুল গনির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রুজিনখাতুনের মা ছবি খাতুন।
আক্রান্তের মা ছবি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে নানান অশান্তি শুরু করে জামাই। শুধু তাই নয়, আমরা জানতে পারি জামাই পূর্বে আরও একটি বিয়ে করে। আমার কাছে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা পণ নেই। কিন্তু তারপরও আমার মেয়েকে সে তালাক দেয়। আমার মেয়ে সেই টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে মেয়ে কে ব্যাপক মারধর করে জামাই। এমনকি মুখে চাকুর কোপ মারা হয়। মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি অভিযুক্ত জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি ওর শাস্তি চাই।যদি ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল গনিকে গ্রেপ্তার করেছে মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ।