কাজ হচ্ছে নির্দেশ মতো। রামপুরহাটের পুনরাবৃত্তি না চেয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্বকে। তাঁর নির্দেশের পরেই জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযান হয়েছে। সেই অভিযান থেকেই উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। গত চার দিনে কমপক্ষে ৪০০ তাজা বোমা উদ্ধার করা গিয়েছে অনুব্রত গড় থেকে। এতেই অনুমান করা যায় যে, বীরভূম কার্যত বারুদের স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, এটা আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। আরও বেশি বোমা আছে জেলায়।
মাড়গ্রাম, দুবরাজপুর, লাভপুর, মল্লারপুর এই সব জায়গা থেকে একাধিক বোমা উদ্ধার করা গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। কোনও জায়গা থেকে ৬০ টি, কোনও জায়গা থেকে ১০০ টি, আবার কোনও জায়গা থেকে ২০০-র কাছাকাছি বোমা উদ্ধার হয়েছে। বিরোধী নেতৃত্বের কটাক্ষ, জেলায় এত বোমা আছে যে একটা দেশ উড়িয়ে দেওয়া যাবে। স্বাভাবিকভাবে এই পরিমাণ বোমা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে সব থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে বেআইনি অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকেই এই পরিমাণ বোমা উদ্ধার আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বলছে, প্রশাসন যোগ্য কাজ করছে, তার জেরেই উদ্ধারকাজ সফল।
কিছুদিন আগেই বীরভূম থেকে প্রায় ২০০ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার ছোট ডাঙাল গ্রামের কাছ থেকে এই বোমা উদ্ধার করা হয়। রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে৷ রাজ্যে কোণায় কোণায় চলবে বোমা এবং বেআইনি অস্ত্র ভাণ্ডারের তল্লাশি৷ যে সব থানায় এহেন অভিযোগ বেশি, সেই থানাগুলির আইসিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে হবে পুলিশ কর্তাদের। সেই রিপোর্ট যাবে সোজা নবান্নে৷ এমনই নির্দেশ রয়েছে।