আগরতলা  জিবিপি হাসপাতাল ও মণিপুরের শিজা মেডিকেল কলেজের  কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের চুক্তি

কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে পর পর দুটি সফল প্রতিস্থাপন সম্ভব হল আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জিবিপি হাসপাতালে। গত ১১ নভেম্বর রাজ্যে দ্বিতীয় কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত ৮ জুলাই ২০২৪ রাজ্যে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাক্ষেত্রে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভবপর হয়েছে রাজ্যের জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর(ডাঃ)মানিক সাহার আন্তরিক প্রচেষ্টায়।

বর্তমানে কিডনি দাতা ও গ্রহিতা, দুজনেরই স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। শিজা হাসপাতালের সহায়তায় এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। শিজা হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে আগামী দিনে জিবিপি হাসপাতালের চিকিৎসকরা যাতে নিজেরাই এই ধরনের প্রতিস্থাপন করতে পারে সেটাই শিজা হাসপাতালের লক্ষ্য। জিবিপি হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ শংকর চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে এই অস্ত্রোপচারে রোগীর আপাতত এক পয়সাও খরচ হয়নি। প্রথম রোগী এবং দ্বিতীয় রোগীর ক্ষেত্রে বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। তাতে রাজ্য সরকারের ছয় লক্ষ টাকার মতো অর্থ ব্যয় হয়েছে। কারণ শিজা হাসপাতালকে প্রতিটি অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সাম্মানিক ভাতা বাবদ দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। বেশ কিছু ল্যাবরেটরি টেস্ট হয়েছে, সেগুলো আগরতলাতে করা সম্ভব হয় না, সেগুলি বাইরে থেকে করিয়ে আনা হয়েছে এবং তার খরচ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর বহন করবে।

উল্লেখ্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মণিপুরের শিজা মেডিকেল কলেজ ও রিসার্চ সেন্টারের সাথে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী রাজ্যের কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় দক্ষতা অর্জনে শিজা হাসপাতালের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে অস্ত্রোপচার করছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জিবিপি হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ শংকর চক্রবর্তী জানান যে কিডনি দাতা গ্রহীতার আত্মীয়। নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনেই অনুমতিপত্র প্রদানের পরেই এই কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।