বর্ষার আগমন ঘটতেই শুরু হয়েছে ইলিশের মরশুম

বর্ষা মানেই ইলিশ, এটাই বাঙালির ঐতিহ্য৷ ভোজন রসিক বাঙালি মানেই পাতে ইলিশের রেসিপি৷ ইলিশের গন্ধেই যেন অর্ধক ভোজন সারা৷ কিন্তু যোগানের অভাবে গত মরশুমে ইলিশ তৃপ্তি হয়নি বঙ্গবাসীর৷ দাম এতটাই চড়া ছিল যে তা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে৷

এই বছরও বাজারে ইলিশের আকাল৷ সাধ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে নেই রুপোলি শস্য৷ তার উপর বহু অসাধু ব্যবসায়ী ইলিশের নামে চন্দনাও চালাচ্ছেন৷ রুপোলি রঙে ধোকা খাচ্ছে বাঙালি৷ দেখতে গেলে গত ৩-৪ বছর ধরেই বর্ষার মরশুমে ইলিশের অকাল৷ বাজারে পর্যাপ্ত জোগান নেই৷ গত দুই মাস সাগরে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার৷

১৫ জুন সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়৷ গত দু’দিন সাগরে জাল পেতে ধরা পড়েছে প্রচুর ইলিশ৷ তবে আকারে ছোট৷ যাকে বলে খোকা ইলিশ৷ এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ থেকে ইলিশের তেমন জোগান নেই। তাই দামও আকাশ ছোঁয়া৷ তবে বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে পদ্মা-রায়দিঘির ইলিশ! কিন্তু বাজারে ইলিশের দর কত?

আপাতত শহরের বাজার ছেয়েছে খোকা ইলিশ ও জাটকায়। খোকা ইলিশ প্রতি কেজি বিকোচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। আকারে এর চেয়ে একটু বড়, মোটামুটি ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম উঠেছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা। ৭৫০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশে কেজি প্রতি দর ৯০০-১,২০০ টাকা৷   তবে ১ কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ কিনতে গেলেই লাগছে ছ্যাঁকা৷ মোটামুটি তা বিকোচ্ছে ১,৪০০-১,৬০০ টাকা কেজি দরে। তবে বাংলাদেশের পদ্মা ও রায়দিঘির ইলিশ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ এ রাজ্যে ঢুকলেও তার দাম কেজি প্রতি দেড় থেকে দু’হাজার টাকা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *